ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আজ এত বছর পরও আমাদের ভাবতে হচ্ছে এ দেশেরই মানুষ, এই দেশেরই অগণতান্ত্রিক-সাম্প্রদায়িক শক্তি এখনো আমাদের বিজয়, আমাদের স্বাধীনতা সুসংহতকরণের বিরুদ্ধে অন্তরায় সৃষ্টি করে আছে।
এই দিনে আমাদের শপথ হবে বিএনপির নেতৃত্বে যে সাম্প্রদায়িক অশুভ শক্তি বিজয়কে সংহতকরণে বাধা বা অন্তরায় হয়ে আছে, এই অশুভ শক্তিকে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা প্রতিহত করব, পরাভূত করব, পরাজিত করব। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা অভিমুখে এগিয়ে যাব।’
মঙ্গলবার সকালে মহান স্বাধীনতা দিবসে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পলাশীর পরাজয়ের প্রতিশোধ নিয়ে ১৯৭১ সালে সার্বভৌম বাংলার রূপকার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দেশে স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে বিতর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এত বছর পরও সেই বিতর্ক চলছে। আমাদের বক্তব্য, ঘোষণার আরও পাঠক আছে। ঘোষণার পাঠক ঘোষক হতে পারে না।
আবুল কাশেম সন্ধি, এম এ হান্নান, অনেকেই ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর নামে। সেখানে তৎকালীন মেজর জিয়াও বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কে ঘোষক, এ বিতর্কের অবসান তখনই হবে, যখন আমরা সত্যের অনুসন্ধান করতে যাব। সেটা হচ্ছে এই স্বাধীনতার ঘোষণার ম্যান্ডেট এ অঞ্চলের জনগণের পক্ষ থেকে একমাত্র বঙ্গবন্ধুই পেয়েছিলেন ৭০ সালের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। আর কারও কোনো বৈধ অধিকার নেই স্বাধীনতা ঘোষণা করার।
পাঁচ দশক পরও মুক্তিযুদ্ধের মিত্রশক্তির বিরোধিতা হচ্ছে বাংলাদেশে—বিষয়টি কীভাবে দেখেন, এমন এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ বিরোধিতা আগেও হয়েছে। যখন কোনো রাজনৈতিক ইস্যু থাকে না, তখনই ভারতের বিরোধিতা করা হয়। এখনো সেটা হচ্ছে। এটা নতুন কিছু না।
এআর
আপনার মতামত লিখুন :