ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘আজকে স্বাধীনভাবে কথা বলার সুযোগ নেই। আমরা যারা দেশের জন্য যুদ্ধ করেছি, যারা বাংলাদেশকে ভালোবাসি, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করি তাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামতে হবে।’ বুধবার (২৭ মার্চ) রাজধানীর মালিবাগে গণঅধিকার পরিষদের (নুর) ইফতার অনুষ্ঠানের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার সরকারিভাবে ইফতার বন্ধ করেছেন উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘ইফতার আমাদের ঐতিহ্য। এটা আদিকাল থেকেই চলে আসছে। আজকে ইফতার মাহফিল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমি জানি না, এটা কার জন্য করা হয়েছে। কাদের খুশি করতে করা হয়েছে?
দেশের মানুষ নিদারুণ অভাবে আছে বলে মন্তব্য করেন মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এই অভাবের কারণে দেশের এক শ্রেণির মানুষ খাবার খেতে পারছে না।’
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘সকলকে দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এই সরকারের পতন ঘটানো ছাড়া বিকল্প নেই।’
গণঅধিকার পরিষদের এই অনুষ্ঠানে পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁনের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, আলোকচিত্রি শহীদুল আলম।
ইফতারে অংশ নেন বিএনপি নেতাদের মধ্যে আবদুল হাই শিকদার, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, জহির উদ্দিন স্বপন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা লের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, বাংলাশে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, ১২ দলীয় জোটের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাতীয় পার্টির (জাফর) আহসান হাবিব লিংকন, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নূরুল আমিন বেপারী, বিশিষ্টজনদের মধ্যে অধ্যাপক আসিফ নজরুল, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, সাবেক রাষ্ট্রদূত সিরাজুল ইসলাম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. খুরশিদ আলম, গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, আব্দুজ জাহের, জসিম উদ্দিন আকাশসহ সংগঠনের কয়েকশো নেতাকর্মী। এ ছাড়া ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের কয়েকজন প্রতিনিধিসহ কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এমএস
আপনার মতামত লিখুন :