ঢাকা : সবকিছু চূড়ান্ত হলে খুব শিগগিরই যুগপতের অভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে আমরা মাঠে নামবো। এছাড়া শরিকদের প্রস্তাব অনুযায়ী জামায়াতকে একমঞ্চে আনতে সব ধরনের কাজ করা হবে।
ফের রাজপথে নামতে চায় বিএনপি। এ নিয়ে নতুন ছক কষছে দলটি। কর্মসূচি ঠিক করতে যোগাযোগ বাড়ানো হয়েছে যুগপৎসঙ্গী দলগুলোর সঙ্গে। শুরু হয়েছে বৈঠকও। আর শুরুতেই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় এলডিপি ও ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে।
তবে আন্দোলনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিত্র জামায়াতকে একমঞ্চে আনতে ১২ দলীয় জোট পরামর্শ দিয়েছে বলে জানা গেছে, কেননা জোটের মতে জামায়াত ছাড়া কোনো আন্দোলন চাঙা হবে না। ১২ মে গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে বৈঠকে এমন বার্তা দেন তারা।
জানা গেছে, বৈঠকের শুরুতে দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আন্দোলনের নতুন কী কর্মসূচি নেয়া যায়- সে ব্যাপারে ১২ দল নেতাদের কাছে পরামর্শ চায় বিএনপি। এ সময় যুগপৎ আন্দোলনের বাইরে থাকা সব দলকে সঙ্গে রেখে ঈদুল আজহার পর ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামার পরামর্শ দেন জোটের কয়েকজন নেতা।
এছাড়া আন্দোলন সফল করতে হলে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী জামায়াতসহ বাম-ডান ও ইসলামী ঘরানার সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামারও প্রস্তাব দেন অনেকে।
কেউ কেউ ভারতীয় পণ্য বর্জনের ক্যাম্পেইন জোরালো করারও কথা জানান। তবে বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, আমরা সীমান্তে হত্যা নিয়ে কর্মসূচি দিতে পারি। মিয়ানমার সীমান্তেও প্রতিনিয়ত ঝামেলা হচ্ছে। তাই একটি ইস্যুতে সীমাবদ্ধ না থেকে বৃহৎভাবে আগ্রাসনবিরোধী কোনো কর্মসূচি দেয়া যায় কি না, সেটা নিয়ে ভাবা যেতে পারে। এজন্য ১২ দলকে প্রয়োজনে সময় নিয়ে কর্মসূচির প্রস্তাব দেয়ার আহ্বান জানান বিএনপি নেতারা।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, আগামীতে আন্দোলন কীভাবে গড়ে তোলা যায় তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। আন্দোলন জোরদার করতেই ১২ দলীয় জোটের সঙ্গে বৈঠক করা হয়। ঈদের আগে আবারও বৈঠক হতে পারে। এরপর সবকিছু চূড়ান্ত হলে খুব শিগগিরই যুগপতের অভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে আমরা মাঠে নামবো। এছাড়া শরিকদের প্রস্তাব অনুযায়ী জামায়াতকে একমঞ্চে আনতে সব ধরনের কাজ করা হবে বলেও জানান এই নেতা।
এমটিআই