ঢাকা: এই সংসদের জাতীয় বাজেট বার্ষিক লুটপাটের বরাদ্দপত্র, জনগণের উপর নতুন করে দ্রব্যমূল্যের খড়গ চাপিয়ে দেওয়ার বাজেট বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বাজেট প্রতিক্রিয়ায় চরমোনাইয়ের পীর এ মন্তব্য করেন।
রেজাউল করীম বলেন, যে সরকার নিজেই সংবিধান লঙ্ঘন করে, রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে, ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে গদি দখল করে নেয়, বিচার বিভাগকে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত করে দেয়, এমন রাজনৈতিক বৈধতাবিহীন সরকারের বাজেটও বৈধ নয়। যে বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে তা বার্ষিক লুটপাটের বরাদ্দপত্র।
তিনি বলেন, ঋণনির্ভর বাজেটের সর্বোচ্চ বরাদ্দ ঋণের সুদ প্রদানেই চলে যাবে। অর্থাৎ এ বছর আগের ১২ বিলিয়ন ডলারের আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ পরিশোধ করতে হবে, যা মোট রাজস্ব আয়ের প্রায় এক তৃতীয়াংশ।
রেজাউল করিম বলেন, দেশ ও জনগণের কল্যাণে এ সরকার কোনো কাজ করেনি। লুটপাটের জন্য বিদেশ থেকে নেওয়া ঋণ জনগণের উপর চাপিয়ে দিয়েছে সরকার। এ ঋণের দায় বিগত ১৫ বছর যারা অবৈধভাবে ক্ষমতায় থেকে লুটপাট করেছে তাদেরকে নিতে হবে।
ইসলামী আন্দোলনের আমীর মুফতী রেজাউল করীম এই সরকারের ঘোষিত নতুন বাজেট জনগণের উপর নতুন করে দ্রব্যমূল্যের খড়গ চাপিয়ে দেওয়ার বাজেট বলেও মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম যখন বেরেল প্রতি ৫ ডলার কমেছে, তখন এই সরকার লিটার প্রতি ৫ টাকা বাড়িয়ে জনগণকে বিষিয়ে তুলেছে।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রের সকল স্তম্ভ ধ্বংসকারী এ ধরনের রাজনৈতিক বৈধতাবিহীন সরকারের বাজেট কখনোই জনকল্যাণকর হতে পারে না।
তিনি বলেন, সরকারি কাজে ব্যয় কমানো কিংবা আর্থিক খাতের সংস্কার নিয়ে এদের কোনো উদ্যোগ নেই, এদের আগ্রহ অনুৎপাদনশীল উন্নয়ন প্রকল্পে।
আইএ
আপনার মতামত লিখুন :