• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১
মির্জা ফখরুল

মাছের টোপ দিয়ে যাদেরকে ধরেন তারা আপনাদের লোক


নিজস্ব প্রতিবেদক:  জুন ৮, ২০২৪, ০৬:১৭ পিএম
মাছের টোপ দিয়ে যাদেরকে ধরেন তারা আপনাদের লোক

ঢাকা: আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে বিনাপ্রশ্নে অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার সুযোগ দেওয়াকে ‘বড়শিতে আধার গেঁথে মাছ শিকারের’ সঙ্গে তুলনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যকে ‘ধূম্রজাল সৃষ্টির কৌশল’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘এটা (বড়শিতে আধার গেঁথে মাছ শিকার) হাস্যকর কথা। আমরা তো দেখলাম যে আপনারা ওই মাছের টোপ দিয়ে যাদেরকে ধরেন তারা আপনাদের লোক। নিজেরাই তো এর (দুর্নীতির) সঙ্গে জড়িত।’

শনিবার (৮ জুন) দুপুরে এক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। সিরাজুল আলম খানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পেশের পরদিন শুক্রবার বিকেলে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বলি, মাছ ধরতে গেলে তো আধার দিতে হয়, দিতে হয় না? আধার ছাড়া তো মাছ আসবে না। (কালো টাকা সাদা করার সুযোগ) সে রকম একটা ব্যবস্থা। এটা আগেও হয়েছে। সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেই শুরু করেছিল, এরপর সব সরকারই করে।’

এ বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বাজেট দেখলেই বুঝতে পারবেন যে রাঘব-বোয়ালদের খাবারের আরেক ব্যবস্থা করেছে। প্রতিবছর একই ঘটনা ঘটছে। যারা অর্থনৈতিক বিশ্লেষক তারা বলছেন, এটা (প্রস্তাবিত বাজেট) শুধুমাত্র ক্ষতি ছাড়া আর কিছু করবে না।’

তিনি বলেন, ‘যেখান সবচেয়ে বড় সংকট হচ্ছে সাধারণ মানুষের জন্যে মূল্যস্ফীতি। দ্রব্যমূল্য এত বেশি বেড়ে গেছে যে, এটা সাধারণ মানুষের কাছে সহনীয় হচ্ছে না। আজ এসব কথা বলে ধূম্রজাল সৃষ্টি করা হচ্ছে। মানুষকে কতদিন প্রতারিত করে রাখা হবে?’

সিরাজুল আলম খানের প্রতি খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের শ্রদ্ধা জানানোর কথা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমি মাহমুদুর রহমান মান্নার পাশে বসে ছিলাম। জিজ্ঞাসা করলাম সিরাজুল আলমের মৃত্যুর পরে আওয়ামী লীগ থেকে কোনো শোকবাণী দেওয়া হয়েছিল কি না? মান্না বললেন, না দেওয়া হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘একবার ভাবুন, কত বড় অকৃতজ্ঞ হলে একটি দল যাদের মূল চালিকাশক্তির মধ্যে এই মানুষটি ছিলেন তাকে তারা সহানুভূতি দিতে চায়নি। আজ সেই একই কারণে জিয়াউর রহমানকে তারা সহ্য করতে পারে না, অনেককে পারে না। এত বছর পরে প্রত্যেকেই যারা এদেশের জন্য অবদান রেখেছেন বা নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের অবদানকে অস্বীকার করাটা সম্পূর্ণভাবে অকৃজ্ঞতা ছাড়া আর কিছু না। আমি আমার দলের পক্ষ থেকে সিরাজুল আলম খানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।’

আইএ

Wordbridge School
Link copied!