ঢাকা: কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘটিত প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচারবিভাগীয় তদন্ত ও বিচার হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, যারা সহিংসতা চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) দুপুরে আওয়ামী লীগের ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আমরা বিশ্বাস করি কোনো সাধারণ শিক্ষার্থী এমন হত্যাকাণ্ড চালাতে পারে না। কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু সমর্থন করি না। প্রধানমন্ত্রী সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশি-বিদেশি চক্র যে আক্রমণ চালিয়েছে তা কোনো সভ্য জাতি মেনে নিতে পারে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শিক্ষার্থীদের সকল দাবি মেনে নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। আমরা বরাবরই শিক্ষার্থীদের দাবি সমর্থন করে আসছি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, একাত্তরে যারা বিশ্বাসঘাতকতা ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে তারা এখনো বিশ্বাসঘাতক। ৭৫ এ যারা জাতির পিতা, বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে তারা এখনো বিশ্বাসঘাতক, ২১ আগস্ট এ শেখ হাসিনাকে টার্গেট করে হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়। ৭১, ৭৫, ২১ আগস্ট, ২০১৩, ১৪, ১৫ ও ২৪ এর বিশ্বাসঘাতক ও খুনিরা হচ্ছে বিএনপি জামায়াত।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আন্দোলনের নামে শিক্ষার্থীদের হত্যা করে সরকারের ওপর দায় চাপানো হয়েছে। কয়েক হাজার আমাদের নেতাকর্মী ও পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করেছে। নজিরবিহীন তাণ্ডব চালিয়েছে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামানো।
এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, ইকবাল হোসেন অপু, আনিসুল হক প্রমুখ।
এমএস