ঢাকা : হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারের পর গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে থাকা শামসুল হক টুকু এবং জুনাইদ আহমেদ পলককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে চাইবে পুলিশ।
পল্টন মডেল থানার ওসি সেন্টু মিয়া বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সকালে বলেন, শামসুল হক টুকু, জুনাইদ আহমেদ পলক ও তানভীর হাসান সৈকতকে গত ১৯ জুলাই পল্টনে এক রিকশাচালককে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
গত রাতে গ্রেপ্তারের পর তাদের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। তাদের আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হবে।
জিজ্ঞসাবাদের জন্য প্রত্যেককে ১০ দিনের রিমান্ডে চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ওসি সেন্টু।
সাবেক ডেপুটি স্পিকার টুকু এবং সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী পলককে বুধবার রাতে ঢাকার খিলক্ষেতের নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. ওবায়দুর রহমান জানান।
একই এলাকা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতও গ্রেপ্তার হয়েছেন।
সরকার পতনের পরদিন ৬ অগাস্ট ‘দেশত্যাগের চেষ্টার’ সময় জুনাইদ আহমেদ পলককে ঢাকার শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটকে দেওয়ার খবর এসেছিল। তখন বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা বলেছিলেন, পলককে ‘একটি বাহিনীর কাছে’ হস্তান্তর করা হয়েছে।
সেই ঘটনার আট দিন পর বুধবার রাতে পলককে গ্রেপ্তারের তথ্য দেয় পুলিশ। ৫ অগাস্টের পর জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার টুকু সম্পর্কে তেমন আলোচনা ছিল না। পলকের সঙ্গে তাকেও গ্রেপ্তার করার কথা জানায় পুলিশ।
ছাত্র-জনতার প্রবল গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা ও প্রাণহানির জন্য তিনি ও তার দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা হচ্ছে। সেসব মামলায় গ্রেপ্তার শুরু হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে সদরঘাট থেকে গ্রেপ্তার হন আওয়ামী লীগ সরকারের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। সালমান ও আনিসুলকে ১০ দিন হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।
৫ অগাস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর দিশেহারা আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রী ও বিভিন্ন পদধারী নেতাকর্মীদের কেউ কেউ দেশ ছাড়তে পারলেও বেশিরভাগ থেকে যান দেশে। তাদের অধিকাংশিই গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন।
এমটিআই