• ঢাকা
  • শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১

১২‍‍’শ লোক মেরে ১২ পদের রান্না করে উল্লাস করেছিল হাসিনা : মামুনুল হক


ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৪, ০৭:৫৩ পিএম
১২‍‍’শ লোক মেরে ১২ পদের রান্না করে উল্লাস করেছিল হাসিনা : মামুনুল হক

ঠাকুরগাঁও: বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক বলেছেন, শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট দুপুরে গণভবনে ১২ পদের রান্না করে বুফে লাঞ্চের আয়োজন করেছিলেন। পুলিশের গুলিতে যখন ছাত্র জনতার বুক ঝাঁঝরা হয়েছিল, তখন শেখ হাসিনা গণভবনে বসে বারো পদের রান্না করে খাবার খাচ্ছিলেন। এর দ্বারা বুঝা যায় দেশের মানুষকে নিয়ে তার কোন ভাবনা ছিল না। দেশের মানুষ মরলেই সে (হাসিনা) খুশি হতো।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের পাবলিক ক্লাব মাঠে এই গণসমাবেশের আয়োজন করা হয়।

মামুনুল হক বলেন, এ দেশের মানুষের প্রতি শেখ হাসিনার কোন আস্থা ছিলনা। হাসিনার চিন্তা ছিল বাংলাদেশের রাজনীতির ১২টা বাজিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার। তাই তার ছেলে, মেয়ে এবং বোনকেও রাজনীতিতে আসতে দেন নাই তিনি। 

তিনি বলেন, তিনি (শেখ হাসিনা) তার নেতাকর্মীদের কথা দুই মিনিট ও ভাবেন নাই। তার চিন্তা ছিল নিজের পরিবার নিয়ে। তাই তিনি এভাবে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।

খেলাফত মজলিসের এই নেতা বলেন, জমিনে আমাদের বন্ধু থাকতে পারে। প্রভু থাকতে পারে না। কোন শক্তি যদি আধিপত্য দেখাতে, বেশি শক্তি দিয়ে আমাদের উপর প্রভুত্ববাদের চেষ্টা করে, তাহলে তাদের চোখ উপড়ে ফেলবো আমরা। আমাদের পরিষ্কার কথা, বন্ধুসুলভ আচরণ করবেন, বন্ধুত্বের প্রতিদান পাবেন। প্রভুত্ব করবার চেষ্টা করবেন, তবে আমরা সে হাত ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিতে কালক্ষেপন করবো না। 

তিনি আরও বলেন, আমাদেরকে কেউ দুর্বল ভাববেন না। যে দেশের মায়ের আদর্শ সন্তানদেরকে যুদ্ধে পাঠিয়ে, আধিপত্যের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রেরণা যোগাতে পারে, সে জাতিকে কেউ থামিয়ে রাখতে পারবে না।

মামুনুল হক বলেন, বিএনপি-জামায়াত সহ সমস্ত শক্তিগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়েও এই ফ্যাসিবাদ শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করতে পারে নাই। যা ছাত্ররা করে দেখিয়েছে। ছাত্রদের ভয়ে ভারতে পালিয়েছে হাসিনা। বাংলাদেশের এই আগস্টের বিপ্লবকে ইসলাম বিরোধী ধারায় প্রচারিত করবার চেষ্টা করা হলে রক্ত দিয়ে আমরা রুখে দাঁড়াবো।

এদেশের সংখ্যালঘুদের প্রতিটি স্থাপনা রক্ষায় আগের মতই ইসলামী দলগুলো ভূমিকা পালন করবে।যতদিন পর্যন্ত আমাদের চূড়ান্ত গন্তব্যে পৌঁছাতে না পারবেন, ততদিন সংগ্রাম চলবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দীন আহমেদ, মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা এনামুল হক মূসা, ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সভাপতি হাফেজ মাওলানা সাঈদ আহমদ সাঈফীসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।

এসএস

Wordbridge School
Link copied!