• ঢাকা
  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
তারেক রহমান

অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না


নিজস্ব প্রতিবেদক:  সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪, ০৬:৩২ পিএম
অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না

ঢাকা: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সব কার্যক্রম মনঃপূত না হলেও এ সরকারকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এসময় তিনি আরও বলেন, জনগণের নির্বাচনে সংসদ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কাজ। সংসদীয় সরকার ছাড়া কোনো সংস্কার স্থায়ী হয় না।

তারেক বলেন, মনে রাখতে হবে এই সরকারের ব্যর্থতা আমাদের সবার ব্যর্থতা। তাই অন্তর্বর্তী সরকারকে কোনোভাবে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। তবে নিজেরা যেন নিজেদের ব্যর্থতার কারণ না হন সে ব্যাপারে তাদের সতর্ক থাকতে হবে।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ব গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তারেক রহমান বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পালিয়ে যাওয়া মাফিয়া সরকার দেশের অর্থনীতিকে শুধু ধ্বংস করেনি, প্রতিটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে।

মাফিয়া চক্রের প্রধান দেশ থেকে পালায়নের মধ্য দিয়ে সেই শাসন-শোষণের অবসান ঘটেছে। প্রধান বাধা হয়তোবা দূর হয়েছে, তবুও গত ১৫ বছরের জঞ্জাল এখনো দূর হয় নাই, বলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

তিনি বলেন, জঞ্জাল দূর করে একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের প্রক্রিয়ায় কাজ চালাচ্ছে অন্তবর্তী সরকার। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার লক্ষ কোটি ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ের ফসল। এ সরকারের কোনো কোনো কাজ হয়তোবা সকলের পক্ষে নাও হতে পারে। মনে রাখতে হবে, এই সরকার ব্যর্থ হলেই দেশের জনগণ ব্যর্থ হবে। বহির্বিশ্বের নানা উস্কানিতেও অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। এ জন্য সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সংস্কার করতে হবে। পরিকল্পিতভাবে সংস্কার কাজ এগিয়ে না নিলে অন্তবর্তী সরকারকে ব্যর্থ করার জন্য একটি পক্ষ উঠে পড়ে লাগবে।

২০০৯ সালের পর আড়াই কোটি নতুন ভোটার হয়েছে, কিন্তু তারা এখনও পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত ভোট দিতে পারে নাই। তাড়া প্রত্যক্ষ ভোটে জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ পায় নাই। তাই দেশের অর্ধেক জনশক্তি নারী ও এই তরুণ প্রজন্মকে বাদ দিয়ে জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচন সম্ভব নয়।

তারেক রহমান বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি ২০২২ ও ২০২৩ সালে রাষ্ট্র ও দেশ গঠনে ৩১ দফা ঘোষণা করেছিল।প্রয়োজনে এই দফাকে আরও সংযোজন করা হবে।তিনি বলেন, রাজনৈতিক পরিবর্তনের জন্য রাজনৈতিক দলের গুণগত পরিবর্তন প্রয়োজন। 

অন্যদিকে সভাপতির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে ফ্যাসিজমের অনেক প্রেতাত্মা অবস্থান করছে। তারা এখনো ছাত্র-জনতার বিজয়কে ব্যর্থ করতে ষড়যন্ত্র করছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ সবসময় গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছে। শুধু বায়ান্ন বা একাত্তর নয়, গণতন্ত্র যেন সাসটেইনেবল হয় সেজন্য আমরা ৩১ দফা দিয়েছি।

ফখরুল আরও বলেন, ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের বিনিময়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা একটা সুযোগ পেয়েছি, সেটি যেন হেলায় হেলায় ফেলে না দেই।

আইএ

Wordbridge School
Link copied!