ময়মনসিংহ: বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মামুনুল হক বলেছেন, আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামের বাংলাদেশ। কোন তন্ত্র-মন্ত্র নয়, ইসলামী শাসন আমল কায়েম হবে বাংলাদেশে। সকলে মিলেমিশে বাস করবে এ বাংলাদেশে। আর কোন স্বৈরাচার বাংলাদেশকে গ্রাস করতে পারবে না। তাই আপনার সজাগ থাকুন, আপনারা সজাগ থাকলেই দেশের স্বাধীনতা রক্ষা হবে, দেশ ও জনগণ শান্তিতে বসবাস করবে।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চন্ডিপাশা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে আহত ও নিহতদের স্মরণে বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস নান্দাইল উপজলা জেলা শাখা আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাবেশে মামুনুল হক বলেন, ঢাকার শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনে ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে নিহত শহীদদের রক্তের সঙ্গে আমরা কখনও বেঈমানী করবো না।
একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধার সম্পর্কে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে শেখ হাসিনার পরিবারের কোন সদস্য শহীদ হয়নি। এতদিন তার পরিবারের শহীদদের নিয়ে যা হয়েছে, তা সবই অভিনয়। স্বৈরচারবিরোধী আন্দোলনে জেনারেল এরশাদ এবং গণআন্দোলনে বেগম খালেদা জিয়া পদত্যাগ করেছিলেন, জেল খেটেছেন তবু দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান নাই। কিন্তুু ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।
তিনি বলেন, এখনও তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে, সংখ্যালুঘুদের মাথা বিক্রী করে তারা আবারও ক্ষমতায় আসতে চায়। এরকম নেতৃত্ব বাংলাদেশের মানুষ আর চায় না। আগামী দিনের বাংলাদেশ হবে, খেলাফত মজলিসের বাংলাদেশ, ইসলামের বাংলাদেশ। এতে সাম্প্রদায়িতকার কোন সমস্যা হবে না।
বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিশ নান্দাইল উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ জুবায়ের আহমদের সভাপতিত্বে খেলাফত যুব মজলিসের নেতা শামসুল ইসলাম রাহমানী, প্রাক্তন দায়িত্বশীল নেতা মুর্শেদুল আলম ও ছাত্র মজলিসের নেতা আনোয়ারুল ইসলামের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের সভাপতি পরিষদের সদস্য মাওলানা আবুল হাসনাত জালালী, বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের সংগঠন বিভাগের সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান, ইত্তেফাকুল উলামা নান্দাইল উপজেলা শাখার সভাপতি মুফতি ইব্রাহীম কাসেমী, মাওলানা আমরুল্লাহ প্রমুখ।
এসময় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, যুব মজলিস, ছাত্র মজলিসের নেতাকর্মীসহ হাজার হাজার সাধারণ জনগণ উপস্থিত ছিলেন।
এসএস