• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

খুনি হাসিনার প্রেতাত্মারা উচ্চ পদে থাকলে সংস্কার কাজ সফল হবে না: রিজভী


রাজশাহী ব্যুরো সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৪, ০৫:১৯ পিএম
খুনি হাসিনার প্রেতাত্মারা উচ্চ পদে থাকলে সংস্কার কাজ সফল হবে না: রিজভী

রাজশাহী: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গত জুলাই মাসে শেখ হাসিনা ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যে গণহত্যা চালিয়েছেন তাতে সরকারি হিসেবের চেয়েও অনেক বেশি নিহত হয়েছেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমরা এসেছি। বিগত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার অন্যায় অত্যাচার, জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এমনকি আয়না ঘরের মতো নির্যাতনে যারা শিকার হয়েছেন তাদের পরিবারের পাশে দেশনায়ক তারেক রহমান সব সময় ছিলেন, এখনো আছেন।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজশাহী ভুবন মোহন পার্কে ‘আমার বিএনপি পরিবার’- এর আয়োজনে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান আন্দোলন চলাকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে রাজশাহী মহানগর ও জেলায় শহীদ পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই কথা বলেন তিনি।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখার জন্য এত জঘন্য কাজ করেছেন সরকারি আমলা যেমন সচিব, ডিসি ও পুলিশ বিভাগসহ প্রশাসনের আরো অনেকে। তারা এখন অনেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। রাষ্ট্রীয় মদদে শেখ হাসিনার পৃষ্ঠপোষকতায় আওয়ামী লীগের নেতারা এস আলম গ্রুপ এবং তার দোসররা দেশের টাকা অবাধে লুটপাট করে বিদেশে প্রচার করেছে। দেশ এখন সংস্কার কাজ চলেছে। ড. ইউনুস সরকারে, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারকে টিকে রাখার জন্য যারা কাজ করেছিলেন তারা যদি থাকে, তাহলে তার সংস্কার কাজের উদ্দেশ্য সফল হবে না। বিগত সরকারের আমলে ছাত্রলীগ, যুবলীগ নেতাদের অস্ত্রের লাইসেন্স দিয়েছিল, কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেই লাইসেন্স বাতিল করেছেন জানান তিনি।

তিনি বলেন, তবে সেই পিস্তল এখনো জমা দেয়নি এবং উদ্ধারও হয়নি। এগুলো উদ্ধার করতে হবে। না হলে তারা ঘাপটি মেরে থাকতে থাকতে মাথা চাঁড়া দিয়ে উঠবে। এতে আবারও গণতন্ত্র হুমকির মধ্যে পড়তে পারে। কারন হাসিনা সরকারের আমলে আমলা থেকে নেতাকর্মীদের হাতে অনেক অবৈধ টাকা রয়েছে। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল ও টানেল বানিয়ে শেখ হাসিনাসহ তাঁর দোসররা বহু টাকা বিদেশে পাচার করেছে।

ভারতকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির কেন্দ্রীয় এই নেতা বলেন, শেখ হাসিনাকে আপনারা আশ্রয় দিচ্ছেন, ভালো কথা। কিন্তু বাংলাদেশের অভ্যন্তরে যদি কোন হস্তক্ষেপ করেন তাহলে এর ফল ভালো হবে না। ছাত্র জনতার আন্দোলনে হাজার হাজার নিরীহ ছাত্র জনতা কে হত্যা করা হয়েছে।  সেই ফেরাউন শেখ হাসিনাকে আপনারা কিভাবে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেন? এটা ঠিক না। খুনি শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার দোসোররা এখনো দেশ অবস্থান করছে। এদের বিচার করতে হবে।

বক্তব্য শেষে শহীদ মিনারুল, সাকিব আনজুম ও হাসিনুদ্দিন বাপ্পিদের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রদত্ত উপহার প্রদান করেন রিজভী।

রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট এরশাদ আলী ঈশার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, আমার বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন, উপদেষ্টা আলমগীর কবীর, বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য ফারজানা পুতুল, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম মার্শাল, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপির সদস্য দেবাশিষ রায় মধু, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা, সদস্য সচিব মামুনুর রশীদ মামুন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক বিশ্বনাথ সরকার, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন, ওয়ালিউল হক রানা, আসলাম সরকার, শফিকুল ইসলাম শাফিক, জয়নুল আবেদীন শিবলী ও বজলুল হক মন্টু, জেলা বিএনপি’র গোলাম মোস্তফা মামুন, রায়হানুর আলম রায়হান, আলী হোসেন ও তোফায়েল হোসেন রাজ প্রমুখ।

আরও উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় সাবেক সহ-সভাপতি ও রাজশাহী মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন, মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম জনি, সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রবি, জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়সাল সরকার ডিকো, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মীর তারেক, সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান জনি ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান লিটন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরফিন কনক, মহিলা দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রোকসানা বেগম টুকটুকি, মহানগর মহিলা দলের সভাপতি এডভোকেট রওশন আরা পপি, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সকিনা খাতুন, রাজশাহী জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক শফিকুল আলম সমাপ্ত, সদস্য সচিব আকুল হোসেন মিঠু, মহানগর কৃষক দলের আহ্বায়ক শরফুজ্জামান শামীম, সদস্য সচিব আশরাফ আলী, মহানগর শ্রমিক দলের সভাপতি রফিকুল আলী পাখি, সাধারণ সম্পাদক রফিকউদ্দিন জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি রোকনুজ্জামান আলম, ও মহানগর তাঁতী দলের সাবেক সভাপতি ও মহানগর বিএনপি’র সদস্য আরিফুল শেখ বনি,মহানগর মৎসজীবী দলের সভাপতি জাকের আলী শান্তি, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, জেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি বাবুল ও সাংগঠনিক সম্পাদক আমজাদ।

এছাড়াও রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আকবর আলী জ্যাকি, সাধারণ সম্পাদক মাকসুদুর রহমান সৌরভ, রাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহী, সহ মহানগর ও জেলা থেকে আগত বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের কয়েক শত নেতাকর্মী ও সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।

এসএস

Wordbridge School
Link copied!