ঢাকা : আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, সাবেক সংসদ উপনেতা ও মন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী আর নেই।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
নির্লোভ, নির্মোহ ও সাদামাটা জীবনাচরণে অভ্যস্ত এক ব্যতিক্রমী রাজনীতিক ছিলেন মতিয়া চৌধুরী। আওয়ামী সরকারের ও দলের মুখ্য ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম থাকলেও সর্বদাই নিজেকে প্রকাশ করতেন সাধারণের মতোই।
১৯৪২ সালের ৩০ জুন পিরোজপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন বিশিষ্ট এই বাংলাদেশি নারী রাজনীতিবিদ। বাংলাদেশি নারী রাজনীতিবিদদের মধ্যে প্রভাবশালী এক নাম ছিলেন অগ্নিকন্যা নামে পরিচিত মতিয়া চৌধুরী।
শেরপুর-২ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্যের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিল বামপন্থী রাজনীতি দিয়ে। তিনি ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)-এর সদস্য ছিলেন, পরবর্তীতে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য ২০২১ সালে বাংলা একাডেমি তাকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করে।
ইডেন কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন মতিয়া চৌধুরী। ১৯৬৫ সালে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন এর সভাপতি নির্বাচিত হন। সে সময় যে কয়েকজন ছাত্রনেতা আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাদের অন্যতম ছিলেন মতিয়া চৌধুরী। সেসময় তিনি ঢাকার ইডেন কলেজেন ভিপি। পরে ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক। ছাত্ররাজনীতি করতে গিয়ে মাস্টার্স শেষ করতে পারেননি তিনি।
সে সময় বামপন্থী রাজনীতিতে সক্রিয় মতিয়া চৌধুরী রাজপথের লড়াকু যৌদ্ধা হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন। ছাত্র ইউনিয়ন যখন দুভাগে বিভক্ত হয়ে যায় তখন তিনি একটি অংশের নেতৃত্ব দেন এবং ছাত্র ইউনিয়ন মতিয়া গ্রুপের সভাপতি হন।
স্বাধীনতার পর মতিয়া চৌধুরী আওয়ামী লীগে যোগ দেন। এরপর তিনি দলটির হয়ে বিভিন্ন আন্দোলনে রাজপথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। রাজনৈতিক জীবনে মতিয়া চৌধুরীকে বহুবার গ্রেপ্তার হতে হয়েছে। সামরিক বিভিন্ন সরকারের সময় বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তার হন এবং কারাবরণ করেন অগ্নিকন্যাখ্যাত এই নেতা।
এমটিআই