ঢাকা: গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, রাষ্ট্রপতির পদত্যাগকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাতে চল্লিশজন বঙ্গভবনে ঢোকার চেষ্টা করল। পুলিশ কী করল? কেন তাদের প্রতিহত করা হলো না? একটি দুর্ঘটনা ঘটে গেলে এর দায়িত্ব কে নিতো?
বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘দেশ বাঁচাও, বন্দর বাঁচাও আন্দোলন’ এর উদ্যোগে ‘চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল বিদেশিদের হাতে তুলে দেবার ষড়যন্ত্রের’ প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে মঞ্জুর হোসেন ঈসার সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, বিএলডিপির মহাসচিব শাহাদাৎ হোসেন সেলিম, এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, জমিয়ত ইসলামের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকবাল, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ।
নুর বলেন, রাষ্ট্রপতির পদত্যাগকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাতে চল্লিশজন বঙ্গভবনে ঢোকার চেষ্টা করল। পুলিশ কী করল? কেন তাদের প্রতিহত করা হলো না? একটি দুর্ঘটনা ঘটে গেলে এর দায়িত্ব কে নিতো? সেখানে গণঅধিকার পরিষদের একটি ব্যানারে বিক্ষোভ করা হয়। তারা গণঅধিকার পরিষদের কেউ নয়। রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব স্পষ্ট বলেছেন, এটি একটি মীমাসিংত বিষয়। এটিকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে। রাজনৈতিক দলের নেতারা যদি প্রয়োজন মনে করেন তাহলে রাষ্ট্রপতি থাকবেন আর যদি না চান তাহলে থাকবেন না। অতি উৎসাহী হয়ে কেউ দেশকে অস্থির করবেন না। আমরা সরকারকে সহযোগিতা করতে চাই। তবে, সরকার যদি জনগণের স্বার্থে কাজ না করে তাহলে রাজপথেই তার প্রতিবাদ করা হবে।
নুর আরও বলেন, পতিত আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে পরনির্ভরশীল রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্র করেছিল। তারই ধারাবাহিকতায় দেশের অর্থনীতির বড় বড় উৎসগুলো বিদেশি শক্তির কাছে দিয়ে দিয়েছে।দেশের সম্পদ দেশের মানুষ পরিচালনা করলে কর্মসংস্থান বাড়বে এবং দেশের অর্থ দেশে থাকবে। কিছু অসাধু আমলা নিজেদের আখের গোছাতে দেশের ক্ষতি করছেন।
আইএ
আপনার মতামত লিখুন :