পটুয়াখালী : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি ও বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদ সভাপতি নুরুল হক নুরকে পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনে সাংগঠনিক কার্যক্রমে সহযোগিতা করতে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় বিএনপি।
২২ অক্টোবর বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির আহবায়ক ও সদস্য সচিবকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ২৮ অক্টোবর (সোমবার) চিঠিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্ট চিঠি পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘গত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলনে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর সক্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তার সংসদীয় এলাকায় পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) জনসংযোগ ও তার দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য আপনাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সংসদীয় এলাকার থানা, উপজেলা, পৌরসভায় বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিষয়টি অবহিত করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতে আপনাদের অনুরোধ করা হচ্ছে। এই আদেশ অতীব জরুরি।’
কেন্দ্রীয় এই নির্দেশনা নিয়ে বিএনপিসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। নুরুল হকের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চর বিশ্বাস ইউনিয়নে। দীর্ঘদিন ধরে পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসন থেকে তার নির্বাচন করার গুঞ্জন চলছে। অপরদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুনের বাড়ি দশমিনা উপজেলা সদরে। তিনিও পটুয়াখালী-৩ আসনে বিএনপি মনোনয়নে নির্বাচন করার জন্য দীর্ঘদিন থেকে মাঠে সক্রিয় রয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্ট বলেন, এই চিঠির সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। নুরুল হক বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন কর্মসূচিতে গেলে কিছু উচ্ছৃঙ্খল লোক তাকে বাধাগ্রস্ত করে। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে উলানিয়ায় নুরুল হকের ওপর হামলা হয়েছিল। দলীয় নিবন্ধন প্রাপ্তির পর পটুয়াখালীতে তার প্রথম জনসভায় উচ্ছৃঙ্খল লোকজন হামলা করেছে। পুনরায় যাতে কেউ এ রকম ঘটনা না ঘটাতে পারে, এজন্য জেলা বিএনপিকে সহযোগিতা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের দল ‘বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদ’ রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেয়েছে। গত ২ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন সচিব শফিউল আজিম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। দলটির জন্য ‘ট্রাক’ প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে। নিবন্ধন নম্বর ৫১। নুরুল হক গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি। সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন মো. রাশেদ খান।
এমটিআই