পিরোজপুর: ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হয়েছিল, একটা বৈষম্যহীন ন্যায় ইনসাফ নীতি-নৈতিকতাসম্পন্ন একটি রাষ্ট্র গঠনের জন্য। আমরা দীর্ঘ ৫৩ বছর দেখেছি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিলেন, ন্যায়-ইনসাফ তো বহুদূরের কথা বরং জাতিকে শোষণ বঞ্চনায় ভরপুর একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থা দিয়ে গেছেন।
তার ফলশ্রুতিতে আমরা দেখেছি, মানুষ দুর্ভিক্ষে না খেয়ে থেকেছে। কিন্তু শেখ সাহেবের সন্তানেরা সোনার মুকুট পড়ে বিয়ে শাদী করেছেন। এটাও দেখেছি ব্যাংক ডাকাতি করেছে, ব্যাংক লুটপাট করেছে, পরবর্তীতে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যখন যে যেভাবে এসেছেন তারাই দেশটাকে তাদের নিজেদের সম্পত্তি মনে করে লুটেপুটে খেয়েছেন।
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন পিরোজপুর জেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে জামায়াত মনোনীত পিরোজপুর-১ আসনের এমপি প্রার্থী ও আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশন ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী এসব কথা বলেন।
মাসুদ সাঈদী বলেন, দেশের সম্পত্তি, দেশের অর্থ সব বিদেশে পাচার করেছে। আমরা বিদেশে বেগম পাড়া হতেও দেখেছি। এর একটি কারণ ছিল বাংলাদেশে নীতি-নৈতিকতা সমৃদ্ধ রাজনৈতিক নেতা আমরা পাইনি। নীতি নৈতিকতার কথা যারা বলেন, নীতি নৈতিকতার জন্য যারা আন্দোলন করেন, জনগণ এখনো তাদের পরিক্ষা করেনি।
তিনি আরো বলেন, এই ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে যে গণবিপ্লব সংঘটিত হয়েছে, বাংলাদেশ এই গণঅভ্যুত্থান শুধুমাত্র ৩৬ দিনের আন্দোলনের ফসল নয়। এই গণঅভ্যুত্থানে বিগত ১৭টি বছর বাংলার মেহনতী শ্রমিক জনতা ও ছাত্র-জনতা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সংগ্রামের ফসল। যদিও ছাত্র-জনতার আন্দোলন ৩৬ দিনে একপর্যায়ে পূর্ণতা পেয়েছে। কিন্তু আন্দোলন শুধুমাত্র ছাত্র-জনতা নয়, আন্দোলন ছিল গোটা দেশবাসীর। সেই সাথে এই আন্দোলনের ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করেছিল আমাদের শ্রমিক ভাইয়েরা। যদি ৫ই আগস্ট এর আন্দোলনে আমাদের শ্রমিক ভাইদের ব্যাপক অংশগ্রহণ না থাকতো তাহলে স্বাধীনতা আমরা পেতাম হয়তো তবে এটা নিশ্চিত আরো সময় লেগে যেত। আমরা এই বাংলাদেশটাকে একটি সুখী সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে দেখতে চাই।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে পিরোজপুর জেলা সদরের টাউন ক্লাব মাঠে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন জেলা সভাপতি মাওলানা সিদ্দিকুল ইসলাম খন্দকার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা হারুনুর রশিদ খান, প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি ও বরিশাল অঞ্চল পরিচালক মো: কবির আহমেদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমির অধ্যক্ষ তাফাজ্জল হোসেন ফরিদ ও সেক্রেটারি অধ্যক্ষ জহিরুল হক।
আইএ
আপনার মতামত লিখুন :