ঢাকা: উন্নত চিকিৎসায় যুক্তরাষ্ট্রে যেতে ভিসার জন্য ঢাকায় দেশটির দূতাবাসে গেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে দূতাবাসের প্রবেশ করেন তিনি।
এর আগে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. জাহিদ হোসেনকে উদ্ধৃত করে বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার সাংবাদিকদের বলেন, ম্যাডামের ব্যক্তিগত কাজে আজ আমেরিকান দূতাবাসে যাওয়ার কথা রয়েছে।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, আগামী মাসের শুরুতে চিকিৎসার জন্য দেশ ছাড়তে পারেন খালেদা জিয়া। প্রথমে তিনি লন্ডনে যাবেন বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে। সেখানে থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১৬ জুলাই যুক্তরাজ্যে যান খালেদা জিয়া। ওই বছরের ১৮ অক্টোবর দেশে ফেরেন তিনি। সেই সময় খালেদা জিয়া যুক্তরাজ্যের ডা. হ্যাডলি ব্যারির চিকিৎসা গ্রহণ করেন।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুদকের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট সংক্রান্ত মামলায় কারাগারে যান খালেদা জিয়া। এরপর ২০২০ সালে করোনা ভাইরাস মহামারির মধ্যে সাবেক আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাহী আদেশে তাকে মুক্তি দেয়। তবে তিনি রাজনীতি ও দেশের বাইরে যেতে পারবেন না— এমন শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়। যার ফলে, কারাগার থেকে মুক্তি পেলেও কার্যত গৃহবন্দি ছিলেন তিনি। এই সময়ে বেশ কয়েকবার গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন খালেদা জিয়া।
চলতি বছরের ৫ আগস্ট ক্ষমতার পটপরিবর্তন হলে পরদিনই (৬ আগস্ট) বেগম জিয়ার মুক্তির আদেশ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
সম্প্রতি খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ডা. জাহিদ হোসেন জানান, বেগম জিয়ার শারীরিক সুস্থতার ওপর নির্ভর করে অতি দ্রুত তাকে বিদেশে মাল্টিডিসিপ্ল্যানারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
আইএ