• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
বাংলাদেশ কনস্যুলেট

স্পেন বাংলা প্রেসক্লাব পক্ষ থেকে বার্সেলোনা পুলিশ প্রশাসনকে সম্মাননা স্মারক প্রদান


কবির আল মাহমুদ, স্পেন ডিসেম্বর ৩, ২০২০, ১০:০১ এএম
স্পেন বাংলা প্রেসক্লাব পক্ষ থেকে বার্সেলোনা পুলিশ প্রশাসনকে সম্মাননা স্মারক প্রদান

ঢাকা: স্পেনের পর্যটন নগরী বার্সেলোনায় বাংলাদেশী কমিউনিটিকে বিভিন্নভাবে আইনী সহায়তা প্রদান করার জন্যে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের নেতৃবৃন্দের হাতে বাংলাদেশ কনস্যুলেট অফিসের পক্ষ থেকে ও স্পেন বাংলা প্রেসক্লাবের সহযোগিতায় সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়েছে। 

বুধবার (২ ডিসেম্বর) সকালে শহরের ডিস্ট্রিক সিউদাদ ভেইয়ার কমিসেরিয়া (থানা) মোসোস ডে এসকোয়াড্রা অফিসের কনফারেন্স রুমে বার্সেলোনার বাংলাদেশের কনস্যুলেটর সিনিয়র রামন পেদ্রোর সাথে বাংলাদেশীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্পেন বাংলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আফাজ জনি এবং অল ইউরোপ বাংলাদেশে প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও স্পেন বাংলা প্রেসক্লাবের প্রথম সদস্য মিরন নাজমুল। এ সময় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মধ্যে উপস্থিত ছিলেন থানার আন্তর্জাতিক সম্পর্কের প্রধান, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিভাগের প্রধান, কমিউনিটির সাথে সম্পর্ক ইউনিটের উপপ্রধান।

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা সম্মলিত কনফারেন্স রুমে এ সময় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উপস্থিত কনস্যুলেটর ও স্পেন বাংলা প্রেসক্লাবের প্রতিনিধিরা মতবিনিময় করেন। বার্সেলোনায় নিযুক্ত বাংলাদেশী কনস্যুলেটর রামন পেদ্রো এ সময় তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, স্পেনের বাংলাদেশীদের কমিউনিটির একটা বড় অংশ বার্সেলোনায় বসবাস করেন। বাংলাদেশীরা তাদের বিভিন্ন প্রশাসনিক ও সামাজিক কার্যক্রমে সব সময় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা পেয়েছেন। 

এ জন্য তিনি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে বাংলাদেশীদের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি তার বক্তব্যে আরো বলেন, বার্সেলোনায় বাংলাদেশের কনস্যুলার সার্ভিসসহ সামাজিক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানমালা করার জন্য অনুমতি থেকে শুরু করে প্রশাসনিক নিরাপত্তা ও সহযোগিতার জন্য সব সময়ই বাংলাদেশী কমিউনিটি এই পুলিশ প্রশাসনকে বন্ধু হিসেবে কাছে পেয়েছেন।

পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ডিস্ট্রিক সিউদাদ ভেইয়ার কমিসেরিয়া (থানা) মোসোস ডে এসকোয়াড্রার প্রধান তার প্রতিক্রিয়ায় জানান, বার্সেলোনা তথা কাতালোনিয়ার শহরবাসী হিসেবে বাংলাদেশীদের তাঁরা একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ বলে মনে করেন। বাংলাদেশীদের সামাজিক আচরণ ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধের বিষয়টি তাদের নথিভুক্ত হিসেব অনুযায়ী অনেক বেশি সন্তোষজনক। তিনি বলেন, বার্সেলোনার আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য এটা অনেক সুন্দর সময় বাংলাদেশীদের সাথে আরো সুন্দরভাবে পরিচিত হওয়া। তিনি বাংলাদেশী কমিউনিটিকে যে কোন ধরণের আইনি সহায়তার জন্যে তার প্রশাসন আরো বেশি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হবে বলেও আশ্বাস প্রদান করেন।

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার নকশা ও রঙের নেপথ্যকারণসহ বাংলাদেশের ভাষা ও স্বাধীনতা অর্জনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস নিয়ে আলোচনা হয়। উক্ত আলোচনায় অতিথিবৃন্দ বাংলাদেশের এই সমৃদ্ধ ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে যে কেন জাতির জন্যে অনেক বড় গৌরবের বিষয় বলে মন্তব্য করেন।

সোনালীনিউজ/কেএল/এসআই

Wordbridge School
Link copied!