ঢাকা: সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফেডারেল আদালতে দণ্ডিত হওয়া ৫৭ জন বাংলাদেশিকে ক্ষমা করেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত জুলাইয়ে আমিরাতের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভে জড়িত বাংলাদেশি নাগরিকদের ক্ষমা করে দিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট। এরই মধ্যে কারাদণ্ডপ্রাপ্তদের শাস্তি বাতিল করা হয়েছে।
এদিকে আজ দুপুরে একই তথ্য জানিয়েছেন দেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি জানান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আদালতে দোষী সাব্যস্ত ৫৭ জন বাংলাদেশিকে আজ দেশটির প্রেসিডেন্ট ক্ষমা করেছেন। শিগগিরই তাদের বাংলাদেশে পাঠানো হবে। মঙ্গলবার দেশের বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠকে এ তথ্য জানান তিনি।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বেলা সাড়ে ১১ টায় এ বৈঠকে যোগ দিয়েছেন দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, ডেইলি নিউ এইজ সম্পাদক নূরুল কবীর, সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, কালবেলার সম্পাদক সন্তোষ শর্মাসহ বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদকরা।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করায় গত ২৩ জুলাই ৫৭ বাংলাদেশিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন দেশটির আদালত। তাদের মধ্যে তিনজনকে যাবজ্জীবন, ৫৩ জনকে ১০ বছর এবং বাকি একজনকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
পরের দিন শুক্রবার বাংলাদেশ কনস্যুলেটে একটি বড় ধরনের মিটিং হয়। নিরাপত্তা নিয়ে দেশটির কন্ট্রোল জেনারেল তার সহযোগীদের নিয়ে এই মিটিং করেন। সেখান থেকে জানা যায় যে, ওইদিন শুক্রবার সন্ধ্যায় আবারও দুবাইয়ে আরও একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এই মিছিল থেকে দেশটির সরকার এ ধরনের কার্যক্রমকে বড় ধরনের ঝুঁকি হিসেবে নিয়ে এই বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং গেপ্তার শুরু করে।
এসএস