ঢাকা: চুল কাটার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরা হলো না স্কুল শিক্ষার্থী ইয়াসমিন মাহমুদ মাহিমের। রাজধানীর কামরাঙ্গীচর খোলামুড়া এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদী থেকে এই শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নিহত ওই শিক্ষার্থীর নাম ইয়াসমিন মাহমুদ মাহিম (১৫)। সে স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের ১০ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলো।
শনিবার (১০ জুন) সকালে স্বজনরা নদীতে লাশ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে নৌ পুলিশের বসিলা ফাঁড়ির পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
মাহিম গতকাল শুক্রবার বাসা থেকে চুল কাটার কথা বলে বের হয়েছে উল্লেখ করে নিহতের মামা রেজাউল করিম সোহাগ সোনালীনিউজকে বলেন, বাসা থেকে মায়ের কাছে চুল কাটার কথা বলে বের হয়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিলো। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও কোথাও না পেয়ে কামরাঙ্গামরিচ থানায় সাধারণ ডায়েরি করি।
সোহাগ আরও জানান, চুল কাটা শেষে আজিমপুরে মাহিমের এক বন্ধুর দাদির মিলাদে যাওয়ার জন্য তার মাকে রাজি করায়। কিন্তু সেখানে যায়নি। পরে তার মোবাইল ফোন চেক করে আমার ভাগ্নের সহপাঠী সামিরের সঙ্গে দেখা করার তথ্য পাই। কিন্তু সে মাহিমের সঙ্গে দেখা করার কথা অস্বীকার করে।
তিনি আরও বলেন, গতকাল থেকে সম্ভাব্য যায়গাগুলোতে খোঁজ করেছি। আজ ভোরে খোলামুড়া ঘাট এলাকায় গেলে এক পথচারীর মাধ্যমে নদীতে লাশ ভেসে থাকার খবর পাই। পরে গিয়ে আমার ভাগ্নে মাহিমের লাশ ভাসতে দেখি। তার শরীর ও মুখে অনেক কাদা লাগানো। তবে শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখিনি।
লাশ উদ্ধারের বিষয়টি সোনালীনিউজকে নিশ্চিত করেছেন নৌ পুলিশের বসিলা ফাঁড়ির পরিদর্শক অনিমেষ হালদার। তিনি বলেন, আজ সকালে বুড়িগঙ্গা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তেরর জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নিহতের শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে শরীর কাদা লাগানো ছিলো। এই ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
জানা গেছে, নিহত সামির তার মায়ের এক মাত্র সন্তান। বাবা মাসুদুর রহমানের সঙ্গে ১০ বছর আগে মায়ের ডিভোর্স হয়ে যায়। এরপর থেকে মায়ের সঙ্গে কামরাঙ্গিরচর বাগানবাড়ি নয়াগাঁও এলাকায় থাকত। মা সাবিনা ইয়াসমিন স্থানীয় একটি স্কুলের সহকারী শিক্ষক।
সোনালীনিউজ/আইএ