• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১

প্রস্তুত গাবতলী পশুর হাট 


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ২০, ২০২৩, ১০:৩৫ এএম
প্রস্তুত গাবতলী পশুর হাট 

ঢাকা: রাজধানীতে ক্রেতাদের সবচেয়ে বেশি ভিড় জমে গাবতলী পশুর হাটে। এবার ঈদ উপলক্ষেও গাবতলী হাটের প্রস্তুতি প্রায় শেষ। 

ব্যবসায়ীদের আশা, আগামী শুক্রবার থেকে পুরোদমে জমে উঠবে এ পশুর হাট। তখন ক্রেতাদের চাহিদা মতো নামবে কোরবানির পশু। এবার মাঝারি দামের পশু টার্গেট করে লাভের আশা করছেন তারা।

সরেজমিনে দেখা যায়, গাবতলী স্থায়ী পশুর হাটের পশুর সেড বিভিন্ন রঙের ত্রিপলে সাজানো হয়েছে। ধোয়ামোছার কাজও চলছে। গতানুগতিক আঙ্গিকেই সাজানো হচ্ছে প্রধান ফটক। 

বসানো হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার, নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ও র‌্যাবের জন্যও উঁচু ওয়াচ টাওয়ার। তবে এখনও ব্যাংক কিংবা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের জন্য বুথ তৈরি হয়নি। বাঁশ ও ত্রিপল দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে অস্থায়ী হাট।

হাট মালিক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদের ১০-১৫ দিন আগেই রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের স্থায়ী ও অস্থায়ী পশুর হাটগুলো সাজানোর প্রস্তুতি নেন ইজারাদাররা। গাবতলী স্থায়ী পশুর হাটের পাশে অস্থায়ী হাটের প্রস্তুতিও শেষ পর্যায়ে।

ব্যাপারিরা বলছেন, হাট কর্তৃপক্ষের প্রস্তুতি থাকলেও এখনও জমেনি অস্থায়ী সেড। ক্রেতা সমাগম কম থাকায় কোরবানির হাট লক্ষ্য করে শ্রম-মমতায় লালনপালন করা গরু-ছাগল এখনই আনছেন না খুচরা ব্যবসায়ীরা। তবে হাটের স্থায়ী সেডে বেচাকেনা চলছে।

গাবতলীর অস্থায়ী পশুর হাটের ম্যানেজার আবুল হাশেম জানান, ঈদকেন্দ্রিক হাটের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। ঈদের এখনও ১০ দিন বাকি। ইতোমধ্যে পুলিশ কন্ট্রোল রুম, ওয়াচ টাওয়ারের কাজ শেষ। ১১টি হাসিল ঘরের মধ্যে ৮টির নির্মাণ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। হাট জমলে বাকি তিনটাও সম্পন্ন হবে৷ চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, বরগুনা, নাটোর, মেহেরপুর, রাজশাহী, পাবনা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানের ৬০ জন বড় ব্যাপারি ইতোমধ্যে সেড বরাদ্দ নিয়েছেন। সেগুলোর কাজও প্রায় শেষ।

তিনি বলেন, এবার হাটের হাসিল লেখার জন্য লোক নিয়োগ করা হয়েছে ৪০০ জন। স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবে দুই বেলা মিলে ৮০০ জন। স্থায়ী টয়লেট কিছু আছে। অস্থায়ীভাবেও কিছু বসানো হবে।

‘কোরবানির পশু এখনও আসা শুরু হয়নি। তবে ১২ মাস যারা এই স্থায়ী পশুর হাটে ব্যবসা করেন সেসব ব্যবসায়ী গরু-খাসিসহ অন্যান্য পশু আনছেন কোরবানি উপলক্ষ্যে। অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও হাসিল একই থাকছে হাটে। শতকরা ৫ টাকা, হাজারে ৫০ টাকা, লাখে পাঁচ হাজার হাসিল। গত কোরবানির ঈদে ছাগল, গরু, ভেড়া, মহিষ মিলে বিক্রি হয়েছিল ২০ হাজারের বেশি পশু।’

সোনালীনিউজ/এআর

Wordbridge School
Link copied!