ঢাকা : টানা ৩২ বছর কারাগারে থাকা আলোচিত জল্লাদ শাহজাহান ভূঁইয়া (৭৩) তিন দিন আগে মুক্তি পেয়েছেন। কারামুক্তি পাওয়ার পর জল্লাদ শাহজাহান ভূঁইয়া তার ফাঁসি কার্যকরের অভিজ্ঞতাগুলো গণমাধ্যমে শেয়ার করছেন।
তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, ফাঁসির আগে মানবতাবিরোধী অপরাধী বিএনপির স্থায়ী কমিটির তৎকালীন সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর (সাকা চৌধুরী) প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল। প্রশ্নোত্তরে তিনি বলেন, একটা মানুষ যতই উচ্ছৃঙ্খল থাকুক না কেন, যখন তিনি জানছেন আজ দুনিয়া থেকে চলে যাবেন, তখন তার মুখ দিয়ে খারাপ কথা আসে না। চুপচাপই থাকে।
তিনি বলেন, জেলে থাকাবস্থায় কারা কর্মকর্তাদের সঙ্গে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করেছেন বলে জেনেছি। তবে ফাঁসির দিন উনি কোনো উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করেননি। উনি বুঝতে পেরেছেন, এখানে উচ্ছৃঙ্খলতা করে কোনো লাভ নেই।
ফাঁসির সময় সাকা চৌধুরীর মাথা আলাদা হয়ে যাওয়ার বিষয়ে জল্লাদ শাহজাহান বলেন, না, না এটা হয়নি। এটা কখনো হয় না। ফাঁসির সময় কারও মাথাই আলাদা হয় না, এগুলো সম্পূর্ণ ভুয়া কথা। আসামির উচ্চতা ও ওজন অনুযায়ী ফাঁসির মঞ্চ ব্যবস্থা করা হয়।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয় ২০১৫ সালের ২২ নভেম্বর রাতের প্রথম প্রহরে। কারাবন্দি থাকাবস্থায় বিভিন্ন সময়ে নিজের আচরণের জন্য সমালোচিত হয়েছিলেন সালাউদ্দিন।
সোনালীনিউজ/এমটিআই