ঢাকা: ঢাকার পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক জানিয়েছেন, জাতীয় ঈদগাহে যারা ঈদের নামাজ পড়তে যাবেন, তারা শুধু জায়নামাজ ও ছাতা সঙ্গে নিতে পারবেন।
এছাড়া ব্যাগজাতীয় অন্য কিছু নিয়ে ঈদগাহে না যাওয়ার অনুরোধ করেছেন তিনি। কোরবানির ঈদের আগের দিন বুধবার তিনি সার্বিক পরিস্থিতি এবং নিরাপত্তার খুঁটিনাটি দেখতে জাতীয় ঈদগাহ পরিদর্শনে যান।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টায় জাতীয় ঈদগাহে দেশের প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে বৃষ্টি বেশি হলে তা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে হবে আধা ঘণ্টা পিছিয়ে।
গোলাম ফারুক সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘এখানে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিসহ ৩০-৩৫ হাজার লোক ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করবেন। যারা ঈদগাহে আসবেন, তারা শুধুমাত্র জায়নামাজ আর ছাতা সঙ্গে নিয়ে আসবেন। অন্য কোনো লাগেজ বা ব্যাগ না নিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করছি।”
প্রত্যেককে ‘আর্চওয়ে’র মধ্য দিয়ে তল্লাশি শেষে ঈদগাহে ঢুকতে হবে বলে জানান তিনি। বুধবার সকাল থেকে রাজধানীতে বৃষ্টি ঝরছে। বৃহস্পতিবার সকালেও এমন বৃষ্টি থাকবে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর আভাস দিয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, “বৃষ্টির দিনে সবার সঙ্গে ছাতা থাকা বাঞ্ছনীয়। আর আবহাওয়া যদি আরও দুযোর্গপূর্ণ না হয়, তাহলে মুসল্লিরা এই অবস্থায় নির্বিঘ্নে জাতীয় ঈদগাহে নামাজ আদায় করতে পারবেন।”
নিরাপত্তা নিয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “ঈদে রাজধানীর সবগুলো গুরুত্বপূর্ণ জামাতে ডিএমপি বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশের সব ইউনিট সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছে।
“ডিএমপির ৩২ হাজার পুলিশ সদস্যের মধ্যে ৩/৪ হাজার হয়ত ছুটিতে থাকবে। বাকিরা নগরবাসীর সেবায় দায়িত্ব পালন করবেন, তাদের ঈদ নেই। আশা করি সবার নিরাপদে ঈদ উদযাপিত হবে।”
সোনালীনিউজ/এআর