• ঢাকা
  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন

ঢামেক মর্গে নিহত চারজনের মরদেহ


ঢামেক প্রতিবেদক জানুয়ারি ৬, ২০২৪, ০৮:৫৪ এএম
ঢামেক মর্গে নিহত চারজনের মরদেহ

এলিনা ইয়াসমিন ও নাতাশা ইয়াসমিন নেকি

ঢাকা : রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেসের ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত চারজনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

শুক্রবার (০৫ জানুয়ারি) দিনগত রাত সাড়ে ১২ দিকে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে এসব মরদেহ মর্গে নেওয়া হয়।

ঢাকা রেলওয়ে থানার (কমলাপুর) উপ-পরিদর্শক সেতাফুর রহমান বলেন, ‘মরদেহ চারটি পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে  এদের মধ্যে একজন পুরুষ, একজন শিশু এবং বড় চুল দেখে একজনকে নারী হিসেবে শনাক্ত করা গেছে। বাকি একজন পুরুষ না কি নারী তা দেখে বোঝার উপায় নেই।’

তিনি বলেন, ‘আজ রাতেই সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মরদেহগুলো মর্গে রাখা হবে। শনিবার ময়নাতদন্ত হবে এবং ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলবে।’

এদিকে নিহতদের মধ্যে দুজন নাতাশা ইয়াসমিন নেকি (২৫) ও  এলিনা ইয়াসমিন (৩০) বলে দাবি করেছে তাদের পরিবার।

নাতাশার ভাই খোরশীদ আহমেদ জানান, তাদের বাড়ি গেন্ডারিয়ায়। শুক্রবার সকালে স্বামী আসিফ মোহাম্মদ খানের (৩০) সঙ্গে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বেড়াতে গিয়েছিলেন নাতাশা। রাতে বেনাপোল এক্সপ্রেসের ট্রেনে ঢাকায় ফিরছিলেন তারা। আগুনে আসিফ দগ্ধ হলেও ট্রেন থেকে বের হতে পেরেছিলেন। তবে নাতাশা বগিতেই পুড়ে মারা যান। আসিফকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

নাতাশার বাবার নাম শাকিল আহমেদ। এক বছর আসিফের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।

অন্যদিকে মুরাদ হোসেন নামে এক ব্যক্তি দাবি করেছেন, নিহতদের মধ্যে একজন তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী এলিনা ইয়াসমিন। পাঁচ মাসের ছেলে সৈয়দ আরফান ও ভাই-ভাবীসহ গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ী সদর উপজেলা থেকে ঢাকায় মিরপুর ৬০ ফিটের বাসায় ফিরছিলেন এলিনা।

তবে এলিনার স্বামী সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন ঢাকায় ছিলেন। মুরাদ জানান, আরফানের মামা (এলিনার ভাই) খবর দেন শিশু আফরান ও স্ত্রীকে নিয়ে বের হতে পারলেও বোন এলিনা ট্রেন থেকে বের হতে পারেনি। তাই তারা ধারণা করছেন এলিনা ট্রেনের ভেতর পুড়ে মারা গেছেন।

স্বজনরা জানান, ১০ দিন আগেই এলিনার বাবা মারা গেছেন। তাই কোলের শিশুকে নিয়ে তিনি বাড়িতে গিয়েছিলেন। আজ সেখান থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন।

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!