ঢাকা: রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজে যদি আগুন লাগার আগে সব নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হতো তাহলে এতো বড় দুর্ঘটনা ঘটত না। কিন্তু এখন আগুন লাগার পর এতো নিরাপত্তা কেন, এমন প্রশ্ন রেখেছেন নিহতদের স্বজনরা।
রোববার (১০ মার্চ) সকালে বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজের সামনে আসেন কয়েকজন স্বজন। এরমধ্যে একজন অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে মারা যাওয়া শুল্ক গোয়েন্দা তদন্ত অধিদপ্তরের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শাহজালাল উদ্দিনের বাবা আবুল কাশেম। এ সময় তার সঙ্গে ছিল স্ত্রী ও ছেলেমেয়ে।
আবুল কাশেম বলেন, আমি কোথাও শান্তি পাচ্ছি না। আমার ছেলেকে বললাম আমাকে বেইলি রোডে নিয়ে যাও। আমি এখানে এসে ভেতরে ঢুকতে চাইছিলাম। ঢুকতে দিলো না। এখন এতো নিরাপত্তা, কিন্তু আগে যদি নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা হতো তাহলে এতো বড় দুর্ঘটনা ঘটত না আর এতো মানুষও মারা যেতো না।
তিনি বলেন, ঘটনার আগের দিন আমার ছেলের সঙ্গে কথা হয়। তারপর আর কোনো কথা হয়নি।
শাহজালালের বোন তসলিমা আক্তার লিমা বলেন, যার চলে যায় সেই বোঝে। আর কেউ বুঝবে না এটা। এটা অনেক কষ্টের। মনে হয় আমার ভাই আসবে। এই মনে হয় দাঁড়িয়ে আছে, মনে হয় ফোন করবে। ফোনের মধ্যে চেয়ে থাকি কখন যে আমার ভাই ফোন করবে।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রের কাছে একটাই চাওয়া এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হোক। এরকম যেন আর কেউ স্বজন না হারায়।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজে অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জন মারা যায়।
আইএ