ঢাকা : শনিবার ভোর হওয়ার আগেই থেকেই মেঘাচ্ছন্ন ছিল ঢাকার আকাশ। সকাল ৭টা পার হতেই শুরু হয় ঝুম বৃষ্টি। প্রচণ্ড বৃষ্টির সঙ্গে ছিল বজ্রপাত। সকালের সূর্য যেন পরাস্ত হলো মেঘের কাছে। চলমান তীব্র দাবদাহের পর এই বৃষ্টি গরমে স্বস্তি নিয়ে আসলেও ভোগান্তিতে পড়েছেন কর্মজীবী মানুষেরা।
যদিও শনিবারের সকালে ঢাকার সড়ক ছিল অনেকটাই ফাঁকা। তবে ঢাকায় তুমুল বৃষ্টি সত্ত্বেও যাদের বের হতে হয়েছে তাঁদের পড়তে হয়েছে ভোগান্তিতে। বৃষ্টির তীব্রতায় ছাতা থাকা স্বত্বেও ভিজতে হয়েছে পথচারীদের।
শনিবার (১১ মে) সকালে ভিড় ছিল না মেট্রোরেলেও। অন্যদিন সকালে যেখানে দাঁড়ানোর জায়গা পাওয়া মুশকিল থাকে সেখানে এদিন প্রায় ফাঁকা ছিল মেট্রোরেল।
বৃষ্টির মধ্যেই বের হতে হয়েছে মিরপুরের বাসিন্দা আজিজুর রহমানকে। বাংলামোটরের উদ্দেশে বের হওয়া এই যাত্রী বলেন, সকাল ৮টায় অফিস। তাই বৃষ্টি উপেক্ষা করে বের হতে হয়েছে। এতো বৃষ্টি যে ছাতা থাকার পরে ভিজে গেছি। রিকশা না পেয়ে মেট্রো স্টেশন পর্যন্ত হেঁটে আসতে হয়েছে।
কথা হয় কারওয়ান বাজারের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী শাহেদ আলমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ক্লায়েন্টের সঙ্গে দেখা করার কথা আজ। তিনি এসে বসে আছেন। তাই এই বৃষ্টি উপেক্ষা করেই বের হয়েছি। আমার সব জামাকাপড়ই ভিজে গেছে। জুতাও ভিজে গেছে। সারাদিন কীভাবে থাকব সেই চিন্তা করছি।
এর আগে শুক্রবার মোটামুটি ঢাকার আবহাওয়া শুষ্কই ছিল। যদিও এর আগের দিন সামান্য বৃষ্টি হয়েছিল। শনিবার ঢাকাসহ দেশের ছয় বিভাগের বেশিরভাগ জায়গায় যে বৃষ্টি হবে, সেই পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শনিবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে হতে পারে শিলাবৃষ্টি।
এদিন সকাল সাতটার একটু পরেই বৃষ্টি শুরু হয়। মিরপুর, নতুনবাজার, বাড্ডা, রামপুরা, পল্টন, মতিঝিল, গুলিস্তানসহ অনেক এলাকায় বৃষ্টি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে বৃষ্টির পরিমাণ কোথাও কম আবার কোথাও বেশি। সকাল সাড়ে আটটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল।
এমটিআই