• ঢাকা
  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

‘সহকর্মীর গুলিতে পুলিশ নিহত’ নিয়ে যা বললেন আইজিপি


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ৯, ২০২৪, ০৮:১৭ এএম
‘সহকর্মীর গুলিতে পুলিশ নিহত’ নিয়ে যা বললেন আইজিপি

ঢাকা: রাজধানীর গুলশানে ঢাকাস্থ ফিলিস্তিনী দূতাবাসের সামনে মনিরুল ইসলাম নামের পুলিশের এক কনস্টেবলের এলোপাতাড়ি গুলিতে আরেক কনস্টেবল কাউসার আহমেদ নিহত হয়েছেন। এক কনস্টেবল কেন আরেক কনস্টেবলকে হত্যা করেছেন তা জানতে পুলিশ তদন্ত করছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন।

শনিবার (৮ জুন) দিবাগত আড়াইটার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। এসময় ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ পুলিশ সদর দফতর ও ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ প্রধান বলেন, রাত ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে ফিলিস্তিনি দূতাবাসের সামনে আমাদের দুজন কনস্টেবল ডিউটিরত ছিলেন। এদের মধ্যে কনস্টেবল কাউসার আলীর গুলিতে কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে মারা যান। এ ঘটনায় জাপান দূতাবাসের গাড়িচালক সাজ্জাদ হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। তিনি এখন ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গাড়িচালক সাজ্জাদ হোসেনের তিন রাউন্ড গুলি লাগে বলে জানান তিনি।

আক্রমণকারী কনস্টেবলকে থানায় নেওয়া হয়েছে এবং তাকে নিরস্র করা হয়েছে জানিয়ে আইজিপি বলেন, আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। মনিরুল ইসলামের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে কিছু গুলির খোসা ও ২০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা তদন্ত করছি। প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ঘটনার কারণ জানতে আমরা কনস্টেবল কাউসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করব। ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করব। প্রকৃত রহস্য জানাটা খুব কঠিন হবে না।

দূতাবাস এলাকা খুবই সুরক্ষিত এলাকা। এ ধরনের ঘটনা আইনশৃঙ্খলার দুর্বলতা প্রকাশ পায় কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে আমাদের লোক ছিল। ঘটনা যে ঘটিয়েছে সেও আমাদের লোক। আসলে ঘটনাটা কী কারণে ঘটেছে সেটা আমরা জানার চেষ্টা করছি।

কাউসারকে কীভাবে আটক করা হয় জানতে চাইলে চৌধুরী আইজিপি বলেন, ঘটনার পর কাউসার তার অস্ত্রটা রেখে ঘটনাস্থলে আশপাশে ঘোরাফেরা করছিলেন। তখন তাকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়।

জাপান দূতাবাসের গাড়িচালক কীভাবে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন জানতে চাইলে পুলিশপ্রধান বলেন, তিনি পথচারী হিসেবে যাচ্ছিলেন। এসময় গুলিবিদ্ধ হন।

কূটনীতিক এলাকায় একজন কনস্টেবলকে দিনে ১৬ ঘণ্টা ডিউটি করতে হয়। এই ডিউটি করার কারণে অনেকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হচ্ছেন কি-না, বা কাউসার মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিল কি-না জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, সবগুলো বিষয়ে আমরা তদন্ত করব।

এমএস

Wordbridge School
Link copied!