ঢাকা: রাজধানীর খিলগাঁওয়ে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে পা বিচ্ছিন্ন হওয়া শিশু রাবেয়া আক্তার (১০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। মায়ের চিকিৎসার জন্য সপরিবারে ঢাকায় এসেছিলো শিশুটি।
শনিবার (২২ জুন) রাত পৌনে ১০টার দিকে একটি ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় শিশু রাবেয়ার। ঘটনার পর স্বজনরা শিশুটিকে মোহাম্মদপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিলে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশুটি।
রাবেয়ার মা মুন্নি বেগম জানান, তাদের বাড়ি ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর থানার চরহাইলা কাঠি গ্রামে। তারা গ্রামের বাড়িতে থাকেন। রাবেয়া সেখানকার একটি স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। তার বাবা রফিক মোল্লা কৃষিকাজ করেন। মা মুন্নি বেগম নিজেই অসুস্থ। চিকিৎসার জন্য শুক্রবার রাতে ঝালকাঠি থেকে সপরিবারে ঢাকার দক্ষিণ বনশ্রীতে মুন্নি বেগমের বড় বোন শিল্পী আক্তার বাসায় উঠেছিলেন। শনিবার সন্ধ্যায় ডাক্তার দেখাতে মেয়ে রাবেয়া ও বড় বোন শিল্পীকে নিয়ে শান্তিবাগে যান। সেখান থেকে বাসায় ফেরার পথে খিলগাঁও খিদমাহ হাসপাতালের পাশে রিকশা থেকে নামেন তারা। এ সময় মায়ের হাত ছেড়ে পাঁপড় খেতে খেতে রেললাইন পার হতে গেলে কমলাপুরগামী একটি ট্রেনের নিচে পড়ে যায় রাবেয়া। কাটা পড়ে শিশুটির বাম পা। ডান পাও থেঁতলে যায়।
নিহত রাবেয়ার খালা ইয়াসমিন আক্তার জানান, আহত অবস্থায় শিশুটিকে শনিবার রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে নেওয়া হয় মোহাম্মদপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেই হাসপাতালে রোববার ভোরে মারা যায় রাবেয়া।
এসআই