ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, আপনারা একেকটি বাচ্চার কাছ থেকে মাসে ১৫-২০ হাজার টাকা ফি নিচ্ছেন। অথচ স্কুলবাস চালু করছেন না। ঢাকার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের পরিবহণে বাসসেবা চালু না করলে স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হবে।
বুধবার (৩ জুলাই) ঢাকার বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য বাসসেবার উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন মেয়র। এ উদ্যোগ নেওয়ায় উত্তর সিটিকে ধন্যবাদ জানান অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
মেয়র বলেন, আপনারা আবাসিক এলাকায় স্কুল করেছেন, গাড়ির আধিক্যে ওই এলাকাবাসীর ভোগান্তি হচ্ছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার সব স্কুলে বাস চালু করতে হবে।
মেয়র বলেন, যানজট নিরসনে বিভিন্ন স্কুলে বাসসেবা চালুর উদ্যোগ নিয়েছে উত্তর সিটি করপোরেশন। সেজন্য বিভিন্ন স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা এটা শুরু করতে পারছিলাম না। দফায় দফায় বৈঠক করতে হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ডিএমপির সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা প্রত্যেকটি স্কুলের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা বলেছে চালু হওয়ার পর তারা দেখতে চায়। আমরা তো চালু করে দিয়েছি।
তিনি বলেন, যারা ঢাকার বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় স্কুল গড়ে তুলেছেন, আপনাদের কিন্তু সময় এসেছে স্কুলবাসে আসার। নইলে কিন্তু আমরা আপনাদের স্কুল বন্ধ করে দিতে বাধ্য থাকব। এভাবে শিক্ষামন্ত্রীও আমাদের বলে গেছেন। সহযোগিতা করেন, নইলে আমাদের কঠোর হতে হবে।
ঢাকা উত্তর সিটি জানিয়েছে, শুরুতে তিনটি রুটে চলবে দ্বিতল বাস। স্কুল থেকে ওই পথ ধরেই শিক্ষার্থীদের নামিয়ে দিয়ে আসবে স্কুল বাসগুলো।
এক নম্বর রুট: কুড়িল বিশ্বরোড থেকে বসুন্ধরা গেট, নদ্দা, নতুনবাজার, গুলশান হয়ে বনানী বিদ্যানিকেতন।
দুই নম্বর রুট: ১০০ ফুট সড়কের বসুন্ধরা গেট, ছোলমাইদ, ফ্যামিলিবাজার, নতুনবাজার, বাঁশতলা, শাহজাদপুর, নতুনবাজার, গুলশান হয়ে বনানী বিদ্যানিকেতন।
তিন নম্বর রুট: উত্তর বাড্ডার সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে থেকে হোসেন মার্কেট, বাড্ডা লিঙ্ক রোড, গুলশান ১ নম্বর, মহাখালী টিবিগেট, ওয়্যারলেস গেট, আমতলী হয়ে বনানী বিদ্যানিকেতন পর্যন্ত।
এই স্মার্ট বাস ব্যবহারকারী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি মোবাইল অ্যাপ রয়েছে। অ্যাপের মাধ্যমে ই-বুকিং দিতে পারবে তারা। অ্যাপের মাধ্যমেই বাসের গতিবিধি দেখতে পারবেন অভিভাবকরা। প্রতিটি বাসের ভেতর বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা।
বনানী বিদ্যানিকেতনে শিক্ষার্থী প্রায় ৪ হাজার ৮০০। শুরুতে ৪৬০ জন অভিভাবক সন্তানকে স্কুলবাসে নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন। অভিভাবকরা আগামী জানুয়ারি মাস পর্যন্ত দেখবেন সব ঠিক আছে কিনা, তারপর তারা এ ব্যবস্থায় আসবেন। সব শিক্ষার্থী পরিবহণে ২০টি দ্বিতল বাস নামানো হবে।
আইএ
আপনার মতামত লিখুন :