ঢাকা : সরকারি চাকরিতে সকল গ্রেডে ‘অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক’ কোটা বাতিল করে এক দফা দাবি আদায়ে সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা। দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক ও রেলপথ অবরোধের খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে সারাদেশের মতো কোটাবিরোধীদের আন্দোলনে অচল হয়ে পড়েছে রাজধানী।
শিক্ষার্থীরা শাহবাগ, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার, সাইন্সল্যাবসহ রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড় অবরোধ করেছেন। এতে যান চলাচল বন্ধ হওয়ায় দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। তাই নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে অনেকেই মেট্রোরেলকে বেঁচে নিয়েছেন। তাই চাপ পড়েছে মেট্রোরেলের স্টেশনগুলোতে। টিকিটের জন্য যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে।
কারওয়ান বাজার মেট্রোরেলের স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, অনেকেই নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে বাস, সিএনজি থেকে নেমে মেট্রো স্টেশনে যাচ্ছেন। ফলে স্টেশনে যাত্রীদের অতিরিক্ত ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। টিকিট কাউন্টার থেকে স্টেশনের সিঁড়ি পর্যন্ত যাত্রীরা লাইনে দাঁড়িয়েছেন। ফলে চাপ বেড়েছে কাউন্টারে।
মিরপুর-১০ থেকে পল্টনে যাচ্ছিলেন মো. আবু হানিফ। কারওয়ান বাজার মোড়ে আন্দোলনকারীদের কারণে বাস আটকা পড়ে। প্রায় ৩০ মিনিট অপেক্ষা করার পর তিনি মেট্রোতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেখানে গিয়ে টিকিটের দীর্ঘ লাইন দেখতে পান।
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনে আমার সমর্থন আছে। যদিও আন্দোলনে আমাদের ভোগান্তি হচ্ছে। তবে বিষয়টি দ্রুত সমাধান হওয়া উচিত। এই গরমে জনজীবনে অস্বস্থি তৈরি হচ্ছে। বাস ছেড়ে মেট্রোতে যাওয়ার জন্য টিকিটের লাইনে দাঁড়িয়েছি। দেখতেই পাচ্ছেন মেট্রোতে অনেক চাপ।
এ বিষয়ে কারওয়ান বাজার স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে দায়িত্বরতদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অন্যান্যদের তুলনায় আজ চাপ বেশি। এর কারণ হতে পারে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। কারণ বাইরে গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে আমাদের একটু চাপ হলেও আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
এমটিআই