ঢাকা: কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ক্যান্টনমেন্ট থানার মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত একমাত্র আসামি মজনু (৩০) কে গ্রেপ্তার করেছে খিলক্ষেত থানা পুলিশ।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত মধ্যরাতে রাজধানীর কুড়াতলী বিআরটিসি বাস কাউন্টারের পেছনে রেল লাইনের পাশ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত মজনু গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে বন্দি ছিলেন। কিন্তু গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর কারাগারে হামলার সময় তিনি কারাগার থেকে পালিয়ে আত্মগোপন করেন। এ ঘটনায় গাজীপুর কাশিমপুর থানায় তার নামে আরও একটি মামলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নামার পর কুর্মিটোলায় নির্জন সড়কের পাশে ধর্ষণের শিকার হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থী। পরদিন ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন শিক্ষার্থীর বাবা। ধর্ষণের খবর ছড়িয়ে পড়লে ধর্ষকের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়। পরে দেশজুড়ে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনবিরোধী আন্দোলন এবং ধর্ষণকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবি ওঠে। ওই শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনার তিন দিন পর মজনুকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
মজনুর ছবি ধর্ষণের শিকার শিক্ষার্থীর কাছে পাঠালে তিনি তাকে শনাক্ত করেন। তদন্ত শেষে ওই বছরের ১৬ মার্চ শুধুমাত্র মজনুকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। বিচারিক কার্যক্রম শেষে ওই বছরের ১৯ নভেম্বর ঢাকার সপ্তম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার আলোচিত এ মামলায় মো. মজনুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, মজনুকে গ্রেপ্তারের পর ক্যান্টনমেন্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এসএস
আপনার মতামত লিখুন :