ঢাকা: রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মীর হাজিরবাগে মাহিবুল ইসলাম মাহি (২৩) নামের মেডিকেল কলেজে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সোয়া একটার দিকে তাকে অচেতন অবস্থায় স্বজনরা ঢাকা মেডিকেল কলেজের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসেন। পরে সেখানকার দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের স্বজনদের দাবি, নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে মাহি। তিনি বারডেম মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। সে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার সৌদিপ্রবাসী মিজানুর রশিদের ছেলে। মাহির মা ফাতেমা আক্তার দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে মিরহাজীরবাগের একটি বাসায় ভাড়া থাকেন। মাহি বারডেম মেডিকেল কলেজের হোস্টেলে থেকেই লেখাপড়া করেন। প্রতি সপ্তাহে ওই বাসায় যান। চার ভাই-বোনের মধ্যে মাহি ছিলেন সবার বড়।
মাহির খালাতো ভাই আসিফুল ইসলাম রিফাত জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার আনুমানিক রাত ১১টার দিকে হোস্টেল থেকে বাসায় যান মাহি। পরে কাউকে কিছু না বলে নিজের কক্ষে গিয়ে দরজা বন্ধ করে রাখেন। দীর্ঘ সময় পরও তাঁর কোনো সারা শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। একপর্যায়ে প্রতিবেশীদের সহায়তায় দরজা ভেঙে দেখা যায়-বারান্দার কাপড় শুকানোর রশি গলায় পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছেন মাহি। পরে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে তাকে নামিয়ে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসলে মারা যায় মাহি।
রিফাত আরও জানান, মাহির সহপাঠীর কাছ থেকে তারা জানতে পেরেছেন-একটি মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল মাহির। সম্প্রতি তাদের সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর থেকে হতাশাগ্রস্থ ছিলেন মাহি।
এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মাহির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রাতে ওই শিক্ষার্থীর পরিবার তাঁকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। স্বজনরা জানান, বাসায় গলায় ফাঁস দিয়েছিলেন ওই যুবক।
তিনি আরও জানান, মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি শ্যামপুর থানা-পুলিশকে জানানো হয়েছে।
এসএস