ঢাকা: রাজধানীর ধানমন্ডিে শুক্রাবাদে বাসার রান্নাঘরে জমে থাকা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ নিপা (৩০) মারা গেছেন। এর আগে একই ঘটনায় তার স্বামী টোটন (৩৫) মারা যান। এ ছাড়া এ ঘটনায় তাদের ৩ বছরের ছেলে দগ্ধ হয়েছে। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
বুধবার (২ অক্টোবর) দিবাগত দেড়টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নিপা।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘এই ঘটনায় দগ্ধ তিনজন আমাদের এখানে এসেছিল। এদের মধ্যে মধ্যরাতে নিপা নামে আরও একজন আইসিইউতে মারা যান। তাঁর শরীরের ৩২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এর আগে গত মঙ্গলবার তাঁর স্বামী টোটন ৫০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে মারা যান। বর্তমানে তাদের ছেলে শিশু বায়জিদ ৪৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।’
তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘ছেলে শিশু বায়জিদ ৪৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দগ্ধের পরিমাণ বেশি হওয়ায় তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।’
এর আগে এর আগে গত শনিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে শুক্রাবাদ ২৭ নম্বর রোডের বাজার মসজিদের পাশের গলির একটি বাসায় এই ঘটনা ঘটে। দগ্ধরা হলেন, টোটন (৩৫), তার স্ত্রী নিপা আক্তার (২৪) ও সাড়ে ৩ বছরের ছেলে শারীরিক প্রতিবন্ধী বায়েজিদ।
দগ্ধ নিপার মা রেহানা বেগম জানান, তাদের বাড়ি নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার কাচারীকান্দি গ্রামে। নিপার বাবার নাম আবুল হোসেন। চলতি মাসের ১ তারিখেই শুক্রাবাদ বাজার মসজিদের পাশে একটি বাড়ির নিচ তলায় ভাড়া উঠে ছিলেন টোটন-নিপা দম্পতি। নিপার স্বামী টোটন কারওয়ান বাজারে মৎস্য আড়তে কাজ করেন। আর নিপা অন্যের বাসাবাড়িতে কাজ করেন। তিন সন্তানের জনকজননী তারা। তবে বড় দুই ছেলে-মেয়ে গ্রামে দাদা দাদির কাছে থাকে। ছোট ছেলে শারীরিক প্রতিবন্ধী বায়েজিদ বাবা মায়ের সাথে ওই বাসায় থাকে।
তিনি জানান, ভোর পাঁচটার দিকে নিপা নিজেই ফোন দিয়ে তাকে জানান, তাদের বাসায় আগুন লেগেছে। তাদের শরীরও পুড়ে গেছে। তাদেরকে দ্রুত বাঁচানোর আকুতি জানান। এর বেশি আর কিছু বলতে পারেনি তখন। পরবর্তীতে ওই বাড়িওয়ালা এবং প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসেন। বাসায় গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে এই আগুন লাগতে পারে বলে তারা ধারণা করছেন।
এসএস