• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ, তীব্র যানজট


নিজস্ব প্রতিবেদক অক্টোবর ২১, ২০২৪, ০৪:৩৬ পিএম
সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ, তীব্র যানজট

ঢাকা:  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি থেকে মুক্তি এবং স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে রাস্তা বন্ধ করে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। এতে রাজধানীর ধানমন্ডিসহ আশপাশের সড়কগুলোতে তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে।

সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুর ১২টা থেকে নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নেন কলেজগুলোর শিক্ষার্থীরা। এর আগে তারা সায়েন্সল্যাব মোড়ে অবস্থান নেন।

‘সাত কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে এ আন্দোলনে অংশ নেওয়া ইডেন কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি থেকে মুক্তি চাই। প্রয়োজনে সাত কলেজ নিয়ে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় করা হোক, সেজন্য ইউজিসিসহ অংশীজনদের অতি জরুরি বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা আর সেশনজটে পড়তে চাই না। চার বছরের কোর্স চার বছরেই শেষ করতে চাই।

সাত কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে শিক্ষার্থীরা সকাল ১০টার পর থেকে ঢাকা কলেজে মূল ফটকে জড়ো হতে শুরু করেন, পরে একটি অংশ নীলক্ষেত মোড়ে এবং আরেকটি অংশ সায়েন্সল্যাব মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন।

এর আগে রোববার মধ্যরাতে একই দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ঢাকা কলেজ, কবি নজরুল কলেজ ও বাঙলা কলেজের শিক্ষার্থীরা। রাত ১টার দিকে পৃথকভাবে মিছিল করেন তারা।

রাত ১২টার দিকে আবাসিক-অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের একটি দল ঢাকা কলেজের নর্থ হল ক্যাম্পাসে অবস্থান নিতে শুরু করেন। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। পরে শিক্ষার্থীরা কলেজ ক্যাম্পাস থেকে মিছিল করতে করতে নীলক্ষেত হয়ে ইডেন কলেজের সামনের রাস্তায় অবস্থান নেন। সেখান থেকে আজিমপুর বাসস্ট্যান্ড হয়ে পলাশী আবাসিক এলাকায় যায় শিক্ষার্থীদের মিছিলটি।

এরপর সকালে আবার তাদের কর্মসূচি শুরু হয়। দুপুরে নীলক্ষেত মোড়ে ‘টু জিরো টু ফোর-অ্যাফিলিয়েটেড নো মোর’, ‘শিক্ষা না বাণিজ্য- শিক্ষা শিক্ষা’, ‘ঢাবির প্রহসন মানি না মানব না’, ‘ঢাবির জায়গায় ঢাবি থাক, সাত কলেজ মুক্তি পাক’-সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।

ঢাকা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান ইব্রাহীম বলেন, ২০১৭ সালে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয়েছি। পরীক্ষা আর রেজাল্টের মধ্যেই ঢাবি প্রশাসন সীমাবদ্ধ। শিক্ষার গুণগত মানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। এমনকি রেজাল্ট প্রকাশ দেরিতে হওয়ায় আমাদের সেশনজটসহ নানা রকমের বঞ্চনার শিকার হতে হয়। আমরা ঢাবি থেকে মুক্তি চাই, স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় চাই।

একই কথা বলেন ঢাকা কলেজের দর্শন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান রিমন। তিনি বলেন, আমরা চাই অতি শিগগির সাত কলেজ ঢাবির অধিভুক্তি থেকে মুক্তি পাক। চার বছরের কোর্স আমরা চার বছরেই শেষ করতে চাই। অচিরেই কমিশন গঠন করে সমাধান চাই। যতক্ষণ সরকার সমাধানে না আসবে আমরা রাস্তা ছাড়ব না।

এআর

Wordbridge School
Link copied!