ঢাকা: রাজধানীর সবুজবাগের ওহাব কলোনির একটি বাসা থেকে সীমা আক্তার (২৩) নামে এক তরুণীর গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
সীমা আক্তার নামের ওই নারীর গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায়। বর্তমানে স্বামীর সাথে ওহাব কলোনির বাসায় ভাড়া থাকতেন তিনি।
সবুজবাগ থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফাতেমা আক্তার বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে বাসাবো ওহাব কলোনির একটি পাঁচতলার বাসার দরজা ভেঙ্গে ওই নারীর গলিত মরদেহ উদ্ধার করি। বাসাটির বাইরে থেকে দরজা তালাবদ্ধ ছিল। দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকা হয়। মরদেহটি অনেকটা পঁচে ফুলে গেছে। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা স্থানীয় লোকের মুখে জানতে পেরেছি বেশ কয়েকদিন আগে রাজি নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ওই বাসা ভাড়া নেন দুজন। তবে ঘটনার পর থেকে সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। নারীর শরীরে বাহ্যিকভাবে কোনো আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। তবে এটা কোনো স্বাভাবিক মৃত্যু না। ময়নাতদন্তের পর মারা যাওয়ার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
তিনি বলেন, ওই নারীর স্বামী পলাতক রয়েছে। এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তার স্বামীকে আটক করা গেলে অনেক তথ্য পাওয়া যাবে। আর ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’
এসএস