ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসা নিতে আগামী মঙ্গলবার লন্ডন যাচ্ছেন। ওইদিন রাত ১০টায় একটি বিশেষায়িত বিমানে তাকে নিয়ে যাওয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন চিকিৎসকরা। খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী হবেন চিকিৎসক, নার্স, ব্যক্তিগত সহকারীসহ অন্তত ১৫ জন।
খালেদা জিয়ার এক চিকিৎসক জানান, আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সাবেক প্রধানমন্ত্রী লন্ডন যাবেন। দীর্ঘ এ যাত্রায় চিকিৎসক টিম, পরিবারের সদস্য ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা থাকবেন। খালেদা জিয়া প্রথমে লন্ডনে যাবেন ছেলে তারেক রহমানের কাছে। সেখানে কয়েক দিন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন।
জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে পূর্ব বাল্টিমোরে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় হসপিটালে বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নেওয়া হয়েছে।
দলীয় সূত্র জানা গেছে, গত আগস্টের শুরুতে নবায়ন করা এমআরপি খালেদা জিয়ার কাছে হস্তান্তর করা হয়। নভেম্বরে তিনি যুক্তরাজ্যের ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেন। ইতোমধ্যে অন্তত ১৫ জন সফরকারীর তালিকা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে।
২০১৭ সালের ১৬ জুলাই লন্ডন গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। চারটি মামলার পরোয়ানা মাথায় নিয়ে ওই বছরের ১৮ অক্টোবর দেশে ফেরেন তিনি।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট-সংক্রান্ত মামলায় কারাগারে যান খালেদা জিয়া। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেয়। এরপর ছয় মাস পরপর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছিল সরকার। অসুস্থ খালেদা জিয়াকে বহুবার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার তাকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেয়নি। পরে দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পরদিন এভারকেয়ারে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার মুক্তির আদেশ দেন রাষ্ট্রপতি।
৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের নানা জটিলতায় ভুগছেন।
এসআই