ঢাকা: রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে একটি ব্যাগের কারখানায় আবু বকর সিদ্দিক নাঈম (২১) ও মো. মোহন (১২) নামে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের ধারণা, ছারপোকা তাড়ানোর ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) রাতে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহত নাঈমের পিতার নাম ওজি উল্লাহ এবং মোহনের পিতার নাম মো. আলাউদ্দিন। তারা উভয়েই নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। বর্তমানে তারা কামরাঙ্গীরচর কয়লা ঘাট এলাকায় হাজী শহীদুল্লাহর লেডিস ব্যাগ তৈরির কারখানার কর্মচারী এবং সেখানেই থাকতেন তারা।
কামরাঙ্গীরচর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. মুসা খান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘শনিবার রাতে খবর পেয়ে কামরাঙ্গীরচরের কয়লাঘাট এলাকার জনৈক হাজী শহীদুল্লাহর বাড়ির নিচতলার একটি কক্ষ থেকে নিহত দুই শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।’
এসআই বলেন, ‘গত শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) রাতে ছারপোকা তাড়ানোর ওষুধ ছিটিয়ে দরজা জানালা বন্ধ করে রাখা হয়। কিছুক্ষণ পরেই তারা ওই রুমে প্রবেশ করে রুটি খেয়ে ঘুমিয়ে থাকে। পরের দিন নিহত মোহনের এক আত্মীয় দুপুর গড়িয়ে গেলেও তাদের কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে স্থানীয় লোকজনদের সহায়তায় দরজা ভেঙে দেখে বিছানার মধ্যে মোহন ও নাঈম অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন। পরে বিষয়টি আমাদেরকে জানালে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করি।’
এসআই আরও জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই কক্ষের দরজা জানালা বন্ধ থাকায় ছাড়পোকা তাড়ানোর ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও জানান এসআই মুসা।
এসএস