Menu
ঢাকা: দেশের সবচেয়ে ধনী এলাকা ঢাকার পল্টন। এ থানায় দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে কম। সেখানে মাত্র ১ শতাংশ জনগোষ্ঠী দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে।
বিবিএস প্রকাশিত ‘বাংলাদেশের দারিদ্র্য মানচিত্র ২০২২’ শীর্ষক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) জরিপের ফল প্রকাশিত হয়।
জরিপে দেখা গেছে, ভাষানটেকে ১৬ দশমিক ২ শতাংশ, মিরপুরে ১২ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করেন। এমনকি রাজধানীর ধনী এলাকা হিসেবে পরিচিত বনানীতে ১১ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে। এছাড়া দারুস সালামে ১১, যাত্রবাড়ীতে ৯ দশমিক ৪, আদবরে ৯ দশমিক ৮ শতাংশ দরিদ্র মানুষ বসবাস করেন।
অন্যদিকে ঢাকার নিউমার্কেটে এক দশমিক ৭ শতাংশ দরিদ্র মানুষ বসবাস করেন। এছাড়া রমনাতে ৪ দশমিক ৪, মতিঝিলে ৩ দশমিক ৬, কোতোয়ালিতে ২ দশমিক ৯, গুলশানে ৩ দশমিক ২, গেন্ডারিয়ায় ২ দশমিক ৪, ধানমন্ডিতে এক দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করেন।
দারিদ্র্য মানচিত্রের পরিসংখ্যানে দেশব্যাপী অর্থনৈতিক বৈষম্য তুলে ধরা হয়েছে। দারিদ্র্য মানচিত্র অনুযায়ী, দেশের সবচেয়ে দরিদ্র জেলা মাদারীপুর। সবচেয়ে দরিদ্র উপজেলা মাদারীপুরের ডাসার।
এর মধ্যে মাদারীপুর জেলার দারিদ্র্যের হার ৫৪ দশমিক ৪ শতাংশ। আর ডাসার উপজেলার দারিদ্র্যের হার ৬৩ দশমিক ২ শতাংশ।
বিবিএসের মানচিত্র অনুযায়ী, ঢাকা জেলার সামগ্রিক দারিদ্র্য হার ১৯ দশমিক ৬ শতাংশ, আর জাতীয় দারিদ্র্য হার ১৯ দশমিক ২ শতাংশ। গ্রামীণ এলাকায় দারিদ্র্য হার ২০ দশমিক ৩ শতাংশ, যেখানে শহুরে দারিদ্র্য হার ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ।
বরিশাল বিভাগে দারিদ্র্য হার দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি, যা ২৬ দশমিক ৬ শতাংশ। বিভাগের মধ্যে দারিদ্র্য কম চট্টগ্রামে, মাত্র ১৫ দশমিক ২ শতাংশ। জেলার মধ্যে ধনী নোয়াখালী, যেখানে দারিদ্র্যের হার মাত্র ৬ দশমিক ১ শতাংশ।
আইএ
© 2025 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সোনালীনিউজ.কম
Powered By: Sonali IT