• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১

ইসলামে এতিম ও অনাথের অধিকার


ধর্মচিন্তা ডেস্ক অক্টোবর ৩, ২০২১, ০১:১০ পিএম
ইসলামে এতিম ও অনাথের অধিকার

ছবি (প্রতীকী)

ঢাকা : ইসলামের দৃষ্টিতে এতিমের প্রতিপালন জান্নাতে যাওয়ার উপায়। হাদিস শরিফে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি কোনো এতিমকে আপন মা-বাবার সঙ্গে নিজেদের (পারিবারিক) খাবারের আয়োজনে বসায় এবং (তাকে এই পরিমাণ আহার্য দান করে যে) সে পরিতৃপ্ত হয়ে আহার করে, তাহলে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে।’ (মুসনাদে আহমাদ : ১৮২৫২)।

অন্য হাদিসে রাসূল (সা.) বলেন, ‘আমি ও এতিম প্রতিপালনকারী জান্নাতে এভাবে থাকব (তিনি তর্জনী ও মধ্য অঙ্গুলি দিয়ে ইঙ্গিত করেন। এবং এ দুটির মধ্যে তিনি সামান্য ফাঁক করেন)।’ (বুখারি : ৫৩০৪)।

কিন্তু দুঃখজনকভাবে সমাজে অনেক সময় দেখা যায়, এতিমের প্রতি অবহেলা ও তুচ্ছতা প্রদর্শন করা হয়। বাবা না থাকায় স্বাভাবিক মানবিক স্নেহবাৎসল্য থেকেও অনেক ক্ষেত্রেই বঞ্চিত হয় তারা।

ফলে এসব এতিম ও অনাথ শিশুরা এক ধরনের প্রতিহিংসা নিয়ে বেড়ে ওঠে। মানুষ খাবার খাচ্ছে, কিন্তু সে পাচ্ছে না-এ চিন্তা হিংসার জন্ম দেয়। অন্যদের জন্য বস্ত্র আছে, শীত নিবারণের উপকরণ আছে, কিন্তু তার নেই এ চিন্তা প্রতিশোধপরায়ণ করে তোলে। এতে এসব শিশুর আচরণ বিকৃত হয়ে যায়। ফলে তারা কাউকে সহজে বিশ্বাস করে না। তাদের মধ্যে ধ্বংসাত্মক কাজে আগ্রহ জন্মে।

তাই এদের পক্ষে খুন, ধর্ষণ, ছিনতাই ও মমতাহীন কাজ করা খুবই সহজ হয়ে দাঁড়ায়। এমনকি এদের বেশিরভাগই কোনো না কোনোভাবে মাদকের সঙ্গে পরিচিত হয়ে পড়ে। ধ্বংস হয় সুন্দর ভবিষ্যৎ জীবন।

আরও পড়ুন - সন্তানকে মায়ের দুধ পানে ইসলামের বিধান

এ জন্য এতিমের প্রতি বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে। নিকটাত্মীয়দের মধ্য থেকে কারও এগিয়ে আসা উচিত। এ ক্ষেত্রেও লক্ষণীয়, যেন কোনো হক নষ্ট না হয়। এতিমের অধিকার রক্ষায় ও অন্যায়ভাবে অধিকার হরণ না করতে বর্ণিত হয়েছে অনেক আয়াত ও হাদিস।

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেন, তোমরা সাতটি ধ্বংসাত্মক কাজ পরিহার কর। সাহাবায়ে কেরাম বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! সেগুলো কী?

আরও পড়ুন - শুক্রবারকে ‘জুমাবার’ ঘোষণার ইতিহাস

রাসূল বললেন, আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করা, জাদু, অন্যায়ভাবে কোনো প্রাণ সংহার করা, সুদ খাওয়া, এতিমের সম্পদ গ্রাস করা, যুদ্ধের মাঠ থেকে পলায়ন করা এবং মুমিন পবিত্র নারীকে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া। (বুখারি : ২৭৬৬)।

সোনালীনিউজ/এসএন

Wordbridge School
Link copied!