ঢাকা : নামাজ বেহেশতের চাবি। মহান রাব্বুল আলামিন সকল মুসলমানের উপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছে। কেউ অসুস্থ হলে কিংবা যানবাহনে থাকলে, তার নামাজেরও সুরত ও পদ্ধতি রয়েছে। নামাজ আদায় না করা ভয়াবহ গুনাহের কাজ। আর এর কঠিন পরিণতি হলো- চিরদুঃখের ও কষ্টের জাহান্নাম।
কোরআনে কারিমে বলা হয়েছে, কেয়ামতের দিন জাহান্নামীদের জিজ্ঞাসা করা হবে— ‘কেন তোমরা সাকার নামক জাহান্নামে এলে? তারা বলবে, আমরা তো নামাজি ছিলাম না এবং আমরা মিসকিনদের খাবার দিতাম না; বরং আমরা সমালোচনাকারীদের সঙ্গে সমালোচনায় নিমগ্ন থাকতাম। এমনকি আমরা প্রতিদান দিবসকে (কেয়ামত) অস্বীকার করতাম। আর এভাবেই হঠাৎ আমাদের মৃত্যু এসে গেল।’ (সুরা মুদ্দাসসির, আয়াত : ৩৮-৪৭)
নামাজে কোরআনে কারিম তেলাওয়াত করা ফরজ, আর সুরা ফাতেহার সঙ্গে অন্য সুরা মিলিয়ে পড়া ওয়াজিব। এক্ষেত্রে পবিত্র কোরআনের যেকোনো স্থান থেকে তেলাওয়াত করলে নামাজের ফরজ আদায় হয়ে যাবে। তবে নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিছু নামাজে কিছু সুরা বেশি পড়তেন।
পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের কেরাত
পাঁচ ওয়াক্তের ফরজ নামাজে কোরআন তেলাওয়াতে নিম্নোক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করা সুন্নত-
১. সফর অবস্থায় সুরা ফাতেহার পর যেকোনো সুরা মিলিয়ে নিলেই চলবে। এ ক্ষেত্রে কোনো বাধ্যবাধ্যকতা নেই।
২. ফজর ও জোহরের নামাজে সুরা হুজুরাত থেকে সুরা বুরুজ পর্যন্ত সুরাগুলো থেকে পড়া।
৩. আসর ও এশার নামাজে সুরা তারিক থেকে সুরা বায়্যিনাহ পর্যন্ত সুরাগুলো থেকে পড়া।
৪. মাগরিবের নামাজে সুরা জিলজাল থেকে সুরা নাস পর্যন্ত সুরাগুলো থেকে পড়া।
সুন্নত ও অন্য নামাজের কেরাত
সুন্নতসহ অন্য নামাজে কোরআন তেলাওয়াতের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করা সুন্নত-
১. নবী কারিম (সা.) ফজরের সুন্নত নামাজের প্রথম রাকাতে সুরা কাফিরুন এবং দ্বিতীয় রাকাতে সুরা ইখলাস পড়তেন।
২. হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বেতের নামাজের প্রথম রাকাতে সুরা দুহা, দ্বিতীয় রাকাতে সুরা কাফিরুন এবং তৃতীয় রাকাতে সুরা ইখলাস পড়তেন।
৩. নবী কারিম (সা.) জুমার দিন ফজরের নামাজে প্রায়ই সুরা আস সাজদা ও সুরা দাহর পড়তেন।
৪. তিনি জুমার নামাজে প্রায়ই সুরা আলা ও সুরা গাশিয়া অথবা সুরা জুমা ও সুরা মুনাফিকুন পড়তেন।
৫. হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ফরজ নামাজের প্রথম রাকাতে দ্বিতীয় রাকাত অপেক্ষা দীর্ঘ কেরাত পড়তেন।
৬. নবী কারিম (সা.) ফজর নামাজে অন্য নামাজের চেয়ে দীর্ঘ কেরাত পড়তেন।
সোনালীনিউজ/এমটিআই