ঢাকা : কিয়ামতের দিন সূর্যকে মানুষের কাছাকাছি নিয়ে আসার কারণে তার তাপ কিছু মানুষকে গলিয়ে দেওয়ার অবস্থা করবে। যারা নেককার বান্দা হবে, তাদের সেদিন কোনো কষ্ট হবে না। কিন্তু যারা বদকার, তারা তাদের পাপ অনুযায়ী সেদিন সূর্যের তাপে কষ্ট পেতে থাকবে। ফলে তাদের কারো কারো ঘাম গোড়ালি পর্যন্ত থাকবে, কারো হাঁটু পর্যন্ত, কারো কোমর পর্যন্ত, কারো মুখ পর্যন্ত।
শীত ও গ্রীষ্মের তীব্রতা আসে জাহান্নামের নিঃশ্বাস থেকে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, জাহান্নাম তার রবের কাছে অভিযোগ করে বলে, হে রব, আমার এক অংশ অন্য অংশকে খেয়ে ফেলেছে। মহান আল্লাহ তখন তাকে দুটি নিঃশ্বাস ফেলার অনুমতি দেন। একটি নিঃশ্বাস শীতকালে, আরেকটি গ্রীষ্মকালে। কাজেই তোমরা গরমের তীব্রতা এবং শীতের তীব্রতা পেয়ে থাকো। (বুখারি, হাদিস : ৩২৬০)
কিয়ামতের ময়দানে সূর্য মানুষের এত কাছাকাছি চলে আসবে যে কেউ তাদের ঘামের মধ্যে হাবুডুবু খাবে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, কিয়ামতের দিন মানুষের ঘাম ঝরবে। এমনকি তাদের ঘাম জমিনে সত্তর হাত পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়বে এবং তাদের মুখ পর্যন্ত ঘামে ডুবে যাবে; এমনকি কান পর্যন্ত। (বুখারি, হাদিস : ৬৫৩২)
অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, মিকদাদ (রা.) বলেন, আমি রাসুলকে (সা.) বলতে শুনেছি, কিয়ামত দিবসে সূর্যকে মানুষের এত কাছে আনা হবে যে তা মাত্র এক অথবা দুই মাইল ব্যবধানে থাকবে।
সুলাইম ইবনু আমির (রহ.) বলেন, আমি জানি না উক্ত মাইল দ্বারা জমিনের দূরত্ব জ্ঞাপক মাইল বোঝানো হয়েছে, না চোখের সুরমা লাগানোর শলাকা বোঝানো হয়েছে।
তিনি বলেন, সূর্য তাদের গলিয়ে দেবে। তারা তখন নিজেদের আমল (গুনাহ) অনুপাতে ঘামের মধ্যে হাবুডুবু খাবে। আর তা কারো পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত, কারো হাঁটু পর্যন্ত, কারো কোমর পর্যন্ত এবং কারো মুখ পর্যন্ত ঘাম পৌঁছে লাগামের মতো বেষ্টন করবে। এই কথা বলার পর রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর হাত দ্বারা মুখের দিকে ইশারা করেন, অর্থাৎ লাগামের মতো বেষ্টন করাকে বোঝালেন। (তিরমিজি, হাদিস : ২৪২১)
সোনালীনিউজ/এমটিআই