ঢাকা : রোজার মাস শুরু হওয়ার আগেই প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। এক্ষেত্রে যেসব বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ রাখা যেতে পারে।
গুনাহের কাজ পরিহার করা : রমজান মাসে গুনাহের কাজ থেকে বিরত থাকার অনুশীলন করতে হবে। পরনিন্দা, অনর্থক কথাবার্তা এবং চোখের গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করতে হবে।
জামাতে নামাজ আদায় : রমজানে জামাতে নামাজ আদায়ের প্রতি যত্নবান হওয়া উচিত। জামাতে নামাজ আদায় করলে তাকে দুটি মুক্তির ছাড়পত্র দেওয়া হয়। এক. জাহান্নাম থেকে মুক্তি এবং দুই. মুনাফেকি থেকে মুক্তি।
নফল নামাজ : নবী (সা.) বলেন, ‘রমজান মাসে যে ব্যক্তি একটি নফল আদায় করল, সে যেন অন্য মাসে একটি ফরজ আদায় করল। আর যে এ মাসে একটি ফরজ আদায় করল, সে যেন অন্য মাসে সত্তরটি ফরজ আদায় করল।’ (বায়হাকি)
কোরআন তিলাওয়াত : রমজানে কোরআন তিলাওয়াতে মনোযোগী হতে হবে।
দোয়া করা : নবী (সা.) রজব মাসের চাঁদ দেখার পর থেকে দোয়া করতেন, ‘হে আল্লাহ, রজব ও শাবান মাসে আমাদের জন্য বরকত দান করুন আর আমাদের রমজান মাস পর্যন্ত পৌঁছে দিন।’ (মুসনাদে আহমদ)
দান-সদকা করা : নবী (সা.) রমজানে অধিক পরিমাণে দান করতেন। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) পৃথিবীর সব মানুষ অপেক্ষা অধিক দানশীল ছিলেন। রমজান মাসে তার দানের হাত আরও প্রসারিত হতো। (বুখারি)
এমটিআই