• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর, ২০২৪, ১৭ আশ্বিন ১৪৩১

আজ শুভ মহালয়া


নিজস্ব প্রতিবেদক অক্টোবর ২, ২০২৪, ১০:৫৪ এএম
আজ শুভ মহালয়া

ঢাকা: বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের পূণ্যলগ্ন শুভ মহালয়া আজ বুধবার (২ অক্টোবর)। এ দিন থেকেই শুরু হয় দেবীপক্ষের। শ্রী শ্রী চন্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গার আবাহনই মহালয়া হিসেবে পরিচিত। শারদীয় দুর্গাপূজার একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হলো মহালয়া।

পুরাণ মতে, এ দিন দেবী দুর্গার আবির্ভাব ঘটে। এ দিন থেকেই দুর্গাপূজার দিন গণনা শুরু হয়। মহালয়া মানেই আর ছয় দিনের প্রতীক্ষা মায়ের পূজার। আর এই দিনেই দেবীর চক্ষুদান করা হয়।

আগামী ৯ অক্টোবর থেকে ষষ্ঠীপূজার মাধ্যমে দুর্গাপূজা শুরু হলেও মূলত আজ থেকেই দুর্গাপূজার আনন্দধ্বনি শোনা যাবে। আগামী ১৩ অক্টোবর বিজয়া দশমির মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে উৎসবের। পূজার এই সূচনার দিনটি সারা দেশে আড়ম্বরের সঙ্গে উদযাপিত হবে।

সনাতন বিশ্বাস ও পঞ্জিকামতে, জগতের মঙ্গল কামনায় দেবী দুর্গা এবার দোলা বা পালকিতে চড়ে স্বর্গলোক থেকে মর্ত্যলোক বা পৃথিবীতে আসবেন। যার ফল হচ্ছে মড়ক। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রোগ ও মহামারির প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাবে। দেবী স্বর্গলোকে বিদায় নেবেন গজ বা হাতিতে চড়ে। যার ফল হিসেবে বসুন্ধরা শস্যপূর্ণা হয়ে উঠবে।

বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে দেবী দুর্গা সব অশুভ শক্তি বিনাশের প্রতীক রূপে পূজিত। মহামায়া অসীম শক্তির উৎস। পুরাণে আছে, মহালয়ার দিনে, দেবী দুর্গা মহিষাসুর বধের দায়িত্ব পান। শিবের বর অনুযায়ী কোনো পুরুষ মানুষ বা দেবতা কখনও মহিষাসুরকে হত্যা করতে পারবে না। অসীম ক্ষমতাশালী মহিষাসুর দেবতাদের স্বর্গ থেকে বিতাড়িত করে এবং বিশ্ব ব্রহ্মান্ডের অধীশ্বর হতে চায়। পরে ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিব সম্মিলিতভাবে ‘মহামায়া’র রূপে অমোঘ নারীশক্তি সৃষ্টি করেন। দেবতাদের ১০টি অস্ত্রে সুসজ্জিত সিংহবাহিনী দেবী দুর্গা ৯ দিনব্যাপী যুদ্ধে মহিষাসুরকে পরাজিত করে।

মহালয়ার আর একটি দিক হচ্ছে এই তিথিতে যারা পিতৃ-মাতৃহীন তারা তাদের পূর্বপুরুষদের স্মরণ করে তাদের আত্মার শান্তি কামনা করে অঞ্জলি প্রদান করেন। সনাতন ধর্ম অনুসারে এই দিনে প্রয়াত আত্মাদের মর্ত্যে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। প্রয়াত আত্মার যে সমাবেশ হয় তাকে মহালয়া বলা হয়।

মহালয়া উপলক্ষে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরসহ দেশের বিভিন্ন মন্দিরে আজ ভোর থেকেই শ্রীশ্রী চন্ডীপাঠসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান মালার আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে সকাল সাড়ে ৭টায় পূর্বপুরুষদের আত্মার শান্তি কামনায় তিল-তর্পণ। সকাল সাড়ে ৮টায় মহালয়ার ঘট স্থাপন ও বিশেষ পূজা অনুষ্ঠান। এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ভোর সাড়ে ৬টা থেকে শুরু হয় আনুষ্ঠানিকতা।

এ ছাড়া মহালয়ার অনুষ্ঠান করেছে গুলশান-বনানী সার্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশন, শ্রীশ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রম ও মন্দির, শ্রী রমনা কালী মন্দির ও শ্রী মা আনন্দময়ী আশ্রম, শ্রীশ্রী সিদ্ধেশ্বরী সার্বজনীন পূজা কমিটি, ধানমন্ডি সার্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটি, উত্তরা সার্বজনীন পূজা কমিটি এবং মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি।

ইউআর

Wordbridge School
Link copied!