ঢাকা: তাবলিগ-জামাতের বিবাদমান দ্বন্দ্বের পর থেকে বিগত ৭ বছর যাবত প্রশাসনের সিদ্ধান্তে কাকরাইল মসজিদে অবস্থানের ক্ষেত্রে জুবায়েরপন্থিরা ৪ সপ্তাহ ও সাদপন্থিরা দুই সপ্তাহ করে পর্যায়ক্রমে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। বিগত সরকারের এমন বৈষম্যপূর্ণ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে আসছিল সাদপন্থিরা। এখন জুবায়েরপন্থিরা পুরো কাকরাইল মসজিদে ১৫ নভেম্বর থেকে অবস্থান নিতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন সাদপন্থিরা। এর ফলে কাকরাইল মসজিদ নিয়ে সংঘাতের আশঙ্কা করছেন তারা।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সাদ অনুসারীরা।
তারা বলেন, কাকরাইল মসজিদের একটি অংশে এমনিতেই জুবায়েরপন্থিরা সারা বছর মাদরাসার নামে আলাদা অবস্থান নিয়ে থাকেন। কিন্তু হেফাজতপন্থি আলেমদের সাম্প্রতিক ঘোষণার প্রেক্ষাপটে জুবায়েরপন্থিরা সরকারি সিদ্ধান্ত অমান্য করে কাকরাইল মসজিদ স্থায়ীভাবে দখল নেওয়ার ঘোষণা দেওয়াকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দেওয়ার আশঙ্কা করছি।
এমন পরিস্থিতিতে ভয়াবহ ধর্মীয় সংঘাত ও হতাহতের মতো ঘটনার আশঙ্কা করছেন সাধারণ মুসল্লি ও তাবলীগের সাথীরা। সরকারি সিদ্ধান্ত মেনে উভয় পক্ষের দ্বন্দ্ব নিরসন দরকার। আলেম-ওলামারা এ বিষয়ে বাড়াবাড়ি না করে পূর্বের মতো কাকরাইল মসজিদ, বিশ্ব ইজতেমা ও সারাদেশে আলাদা আলাদা কার্যক্রম পরিচালনা করলে সংঘাত হবে না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, তাবলিগ জামাতের মুরুব্বি জিয়া বিন কাসেম, আব্দুর রাজ্জাক কাসেমী, মুফতী মু'আজ বিন নূর, বিশিষ্ট লেখক গবেষক ও জামিয়া কাশিফুল উলুম ঢাকার মুহতামিম সৈয়দ আনোয়ার আবদুল্লাহ, জাতীয় ইত্তেহাদুল উলামা ও আইম্মা পরিষদের সভাপতি মুফতী শফিউল্লাহ মক্কী, মুফতি আরীফুর রহমান আলীফ প্রমুখ।
আইএ