ঢাকা: ঈসা (আ.) এর আগমন ও কিয়ামতের আলামত নিয়ে হাদিসে যা বলা হয়েছে বনী ইসরাঈলের সর্বশেষ নবী হজরত ঈসা আ.। তিনি বিশ্ববাসীর জন্য হজরত মুহাম্মদ সা.-এর আগমনের সুসংবাদ দিয়ে গেছেন। তাকে আল্লাহ তায়ালা আসমানে উঠিয়ে নিয়েছেন। শেষ যুগে তিনি পৃথিবীতে আবারো আগমন করবেন এবং খোদাদ্রোহী অবিশ্বাসী দাজ্জালকে ধ্বংস করবেন। তার আগমন ও দাজ্জালকে ধ্বংসের বিষয়টিকে হাদিসে কিয়ামতের অন্যতম বড় আলামত হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। একাধিক হাদিসে বিষয়টি বর্ণিত হয়েছে।
এক হাদিসে হজরত আবু হুরায়রা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. বলেন—
যার হাতে আমার প্রাণ তাঁর শপথ, অচিরেই তোমাদের মাঝে মরিয়মের পুত্র ন্যায়পরায়ণ শাসক হিসেবে অবতরণ করবেন। তিনি ক্রুশ ভাঙবেন, শূকর বধ করবেন, জিযিয়া তুলে দিবেন এবং সম্পদের প্রাচুর্য দেখা দেবে। এমনকি কেউ সম্পদ গ্রহণ করবে না, এমনকি একটি সাজদার মূল্য দুনিয়া ও তার সব সম্পদের চেয়ে বেশি বলে গণ্য হবে। (বুখারি, হাদিস : ২/৭৭৪)
নবীগণ বৈমাত্রেয় ভাইদের মত; তাঁদের মাতৃগণ পৃথক হলেও তাঁদের দীন একই। মরিয়মের পুত্র ঈসার বিষয়ে আমারই অধিকার বেশি; কারণ তাঁর ও আমার মাঝে কোনো নবী নেই। তিনি অবতরণ করবেন। যখন তোমরা তাঁকে দেখবে তাঁকে চিনবে: তিনি মধ্যমাকৃতির লালচে-শুভ্র মানুষ। তাঁর পরিধানে হালকা হলুদ রঙের দুটি কাপড় থাকবে। (পরিচ্ছন্নতার কারণে) তাঁর মাথায় পানি স্পর্শ না করলেও মনে হয় যে তা থেকে পানি পড়ছে। তিনি ক্রুশ ভাঙবেন, শূকর বধ করবেন, জিযিয়া অপসারণ করবেন, সকল মানুষকে ইসলামের দিকে ডাকবেন। তাঁর সময়ে ইসলাম ছাড়া অন্য সকল ধর্ম বিলুপ্ত হবে। তাঁর সময়েই মাসীহ দাজ্জালকে আল্লাহ ধ্বংস করবেন।
এরপর পৃথিবীতে শান্তি-নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত হবে। এমনকি উটের সাথে সিংহ, গরুর সাথে বাঘ ও মেষের সাথে চিতা চরবে। শিশুরা সাপ নিয়ে খেলবে কিন্তু সাপ তাদের ক্ষতি করবে না। তিনি চল্লিশ বৎসর অবস্থান করবেন। এরপর তিনি মৃত্যুবরণ করবেন এবং মুসলিমগণ তাঁর জানাযা আদায় করবে। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২/৪০৬)
ইউআর