ভোলা : আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিক্রির জন্য ভোলায় ১ লাখ ৬ হাজার ৯৫৪টি কোরবানির পশু প্রস্তুত করেছেন খামারিরা। এর মধ্যে ৭৫ হাজার ৩০৪টি গরু ও ২ হাজার ৫৯২টি মহিষ, ২৭ হাজার ৪৭৪টি ছাগল ও ১ হাজার ৩৮৪টি ভেড়া রয়েছে। তবে এবার ভোলা জেলায় প্রায় ১ লাখ ২ হাজার ৬০টি কোরবানির পশু জবাই হবে বলে আশা করছে জেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগ।
এদিকে ভোলার সাত উপজেলায় ৯৩টি স্পটে পশুরহাট বসানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তবে করোনা সংক্রমণের কারণে দেশে কঠোর বিধিনিষেধ ১৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানোয় তা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ফলে পশু বিক্রির জন্য বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে অনলাইন প্লাটফর্ম বেছে নিয়েছে জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। যার ধারাবাহিকতায় সরকারি ব্যবস্থাপনায় ইতোমধ্যে ভোলায় ৮টি অনলাইন প্লাটফর্মে ডিজিটাল পশুরহাট বসানো হয়েছে। যেগুলো থেকে ক্রেতা সহজেই পশু পছন্দ করে কিনতে পারবেন। এসব হাটে গরুর ছবি, ওজন, দাম এবং বিক্রেতার নাম মোবাইল নাম্বার দেয়া থাকবে। ফেইসবুকের সার্চ অপশনে গিয়ে "অনলাইন পশুরহাট ভোলা" নামে সার্চ করলে অনলাইন পশুরহাট খুঁজে পাওয়া যাবে। সেখান যে কেউ গরু কেনা-বেচা করতে পারবেন।
জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় কুরবানির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১ লাখ ৬ হাজার ৯৫৪টি গরু। তবে জেলায় কোরবানির জন্য গরুর চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ২ হাজার ৬০টি। এবছর চাহিদার চেয়েও প্রায় পাঁচ হাজার গরু বেশী রয়েছে। এছাড়াও জেলায় ৯৩টি পয়েন্টে পশুরটহাট বসানোর প্রস্তুতি নেয়া হলেও করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের উপর নির্ভর করছে এ বছর ঠিক কতটি পশুরহাট বসবে। তবে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে অনলাইন পশুরহাট চালু করেছে জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর।
এদিকে ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারি ও পারিবারিক পশু পালনকারীরা। ইতোমধ্যে তারা প্রকৃতিক উপায়ে গরু মোটাতাজকরণ করেছেন তারা। হাট বসার ঘোষণা এলেই তারা গরু নিয়ে হাটে যাবেন। তবে করোনা প্রদুর্ভাবের কারণে হাটে ক্রেতা কম থাকলে গরুর দাম কমে যাবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে তারা।
ভোলা সদরের খামারী মো. স্বপন মিয়াসহ একাধিক খামারী জানান, কোরবানি ঈদে বিক্রির জন্য খামারীরা সারা বছর গরু লালন পালন করে। হাট না বসলে লোকসান গুণতে হবে এসব খামারীদের। এতে করে খামারীরা গরু পালন বন্ধ করে দিলে ভবিষ্যতে কুরবানির জন্য গরুর সংকট তৈরি হবে।
জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ কুমার মন্ডল জানান, এখন পর্যন্ত ভোলার ৯৩টি পয়েন্টে পশুটহাট বসানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তবে সব কিছু নির্ভর করছে লকডাউন এবং করোনা সংক্রমনের উপর। হাটের সংখ্যা কমে যেতে পারে। তবে এর জন্য আমরা বিকল্প ব্যবস্থা হাতে নিয়েছি। জেলায় ৮টি অনলাইন পশুরহাট খুলেছি, সেখানে পশু কেনা-বেচা যাবে।
সোনালীনিউজ/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :