ঢাকা: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) নিয়ে ব্যবহারকারীদের সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। সাইবার অপরাধী বা হ্যাকাররা চ্যাটজিপিটির মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) চ্যাটবট ব্যবহার করে ক্ষতিকর সংকেত বা কোড তৈরি করছে এবং খুব সহজে সাইবার অপরাধ সংঘটিত করছে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে এক সভায় প্রতিষ্ঠানটি এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বলা হয়, বিভিন্ন অবৈধ কার্যক্রমের ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক চ্যাটবট ব্যবহার করা হচ্ছে। অনলাইন প্রতারকেরা এআই ব্যবহার করে তাঁদের প্রতারণার কৌশল আরও উন্নত করার কাজ করছেন। এমনকি সন্ত্রাসীরা আরও বিধ্বংসী ও ভয়ংকর রাসায়নিক হামলা চালানোর পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে এ টুল ব্যবহার করে তথ্য অনুসন্ধান করছে।
সংস্থাটির এক কর্মকর্তা বলছেন, এআই ব্যবহারের ফলে সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে দুই ধরনের ঝুঁকি বাড়ছে। প্রথমত, এআই সফটওয়্যারকে উন্নত ও সমৃদ্ধ করতে এমনভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, যার ফলাফল ক্ষতির শঙ্কা তৈরি করে। একে বলা হচ্ছে ‘মডেল মিসঅ্যালাইনমেন্ট’। দ্বিতীয়ত, সরাসরি এআইয়ের অপব্যবহার করা। এআইয়ের ওপর মানুষের নির্ভরতা বাড়ায় এসব ঝুঁকি বাড়ছে।
সাইবার অপরাধীরা নতুন ম্যালওয়্যার আক্রমণের জন্য এআই ব্যবহার করছেন যেমন এআই দিয়ে ক্ষতিকর ওয়েবসাইট তৈরি কিংবা অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারকে এড়িয়ে যেতে পলিমরফিক ম্যালওয়্যার তৈরি। এমনকি এআই দিয়ে ডিপফেক প্রযুক্তি ব্যবহার করে নগ্ন ছবি তৈরি করে অর্থ দাবি করছে অপরাধীরা। শুধু তা-ই নয়, এআই দিয়ে কণ্ঠস্বর ক্লোন করে ফোনকলের মাধ্যমেও প্রতারণা করা হচ্ছে।
হ্যাকাররা এআইয়ের ওপেন সোর্স মডেল ব্যবহার করছেন, নাকি ব্যক্তিগত এআই প্রোগ্রাম ব্যবহার করছেন, এ সম্পর্কে তথ্য দেয়নি এফবিআই। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়, এআই নিয়ে কাজ করা গবেষণা সংস্থা লক্ষ্য করে সক্রিয় হামলা চালানোর চেষ্টা করছে অপরাধীরা।
সোনালীনিউজ/এআর