ঢাকা : ‘হে সূর্য, সূর্যালোকের তোড়ার জন্য তোমাকে অনেক ধন্যবাদ।’ শক্তির প্রধান উৎস সূর্যকে এভাবেই অভিবাদন জানিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। ইনস্টাগ্রামে প্রকাশ করেছে সূর্যের একটি চমৎকার ভিডিও ও ছবি। সূর্যের এত সুন্দর ছবি আগে দেখা যায়নি।
নাসার অবজারভেটরি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সৌর শিখার এই ছবি ও ভিডিও। উত্তাপও যে সুন্দর হতে পারে, তা এ ভিডিওতে দেখা যায়।
ইনস্টাগ্রামে প্রকাশিত ছবির ক্যাপশনে বলা হয়, ‘আমাদের সৌরজগতের বৃহত্তম বস্তু, আমাদের সূর্য। এর চারপাশের সব বস্তুকে তাদের কক্ষপথে বড় এবং ছোট করে রাখে। গ্রহ থেকে শুরু করে ধূলিকণা পর্যন্ত, সবকিছুকে এর বিশাল আকার এবং চৌম্বকীয় উপস্থিতি রয়েছে।’
নাসা বলছে, সূর্যের কাছের বায়ুমণ্ডলকে বলা হয় করোনা। সেখানে গতির প্রাবল্য মারাত্মক। আর এখানেই সৌর শিখা এবং করোনাল ভর ইজেকশনের (সিএমই) মতো বড় বিস্ফোরণ ঘটে। ছবিতে দেখা যায়, তারই পাশে তৈরি হয়েছে অরোরা আলোকবৃত্ত।
এই সূর্যে চৌম্বকক্ষেত্রের ভূমিকা অনেক। সেগুলো প্রচুর পরিমাণে শক্তি নির্গত করে, যা প্রতিনিয়ত সৌর শিখা তৈরি করছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, নেয়ার-আর্থ সোলার ডাইনামিকস অভজারভেটরি এই ছবিটি ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে তোলেছিল। এবার সেটি নতুন করে বানানো হলো।
সৌর শিখা হল আকস্মিক ও উজ্জ্বল আলোর ঝলক, যা সূর্যের পৃষ্ঠে দেখা যায়। এগুলো সাধারণত কয়েক মিনিট স্থায়ী হয়। এ ছাড়া এক্স-রে, অতিবেগুনি রশ্মি এবং রেডিও তরঙ্গসহ ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক বিকিরণের আকারে শক্তির বিস্ফোরণ ঘটে এখানে।
আর্থ সোলার ডাইনামিক্স অবজারভেটরি তেমনই একটি বিকিরণ দেখতে পায়, যা প্রতি সেকেন্ডে ৯০০ মাইল ছুটে চলেছিল। এর ফলেই অরোরার মতো আলোকরেখা তৈরি হয়েছিল বলে ধারণা করছেন বিজ্ঞানীরা।
এমটিআই