ঢাকা : ভূপৃষ্ঠ থেকে এক লাখ ফুট উচ্চতায় তৈরি করা হচ্ছে রেস্তোঁরা। মহাশূন্যের এ রেস্তোঁরায় আপাতত ছ’জন অতিথির জন্য টেবিল থাকছে। চারপাশে থাকছে বড় বড় জানলা, চোখ চলে যাবে সুদূরে। সেখানে বসে সূর্যোদয় দেখতে দেখতে খাবার উপভোগ করতে পারবেন অতিথিরা। অনেক নীচে থাকবে সাদা-নীল বর্ণের পৃথিবী।
নিউ ইয়র্কের ‘স্পেসভিআইপি’ নামে একটি পর্যটন সংস্থা তৈরি করছে এ রেস্তোঁরা। বিশ্বের অন্যতম খ্যাতনামা এক ড্যানিশ শেফকে এ রেস্তোঁরার জন্য নিয়োগও দিয়েছে তারা। সামান্য কিছু কাজ বাকি। অতিথিদের স্বাগত জানাতে অপেক্ষা করতে হবে আরও এক বছর।
‘স্পেসভিআইপি’ তাদের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে রেস্তোঁরার বেশ কিছু ছবি শেয়ার করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, রেস্তোঁরাটি দেখতে হবে অনেকটা বেলুনের মতো। ছ’ঘণ্টার জন্য সেই হাইটেক স্পেস-বেলুনে মহাকাশ-সফরে নিয়ে যাওয়া হবে অতিথিদের।
এ সফরে মাথাপিছু খরচ প্রায় ৫ লক্ষ ডলার। ‘স্পেসভিআইপি’ জানিয়েছে, তাদের ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বুকিং সংক্রান্ত অসংখ্য প্রশ্ন আসতে শুরু করেছে। অনেকেই জানতে চাইছেন, এই সফরে নাম লেখাতে কোথায় সাইন আপ করতে হবে।
অতিথির জন্য রেস্তোঁরায় ওয়াইফাইও থাকবে। ফলে কেউ চাইলে মহাকাশ থেকেই লাইভস্ট্রিম করতে পারবেন, বন্ধুদের কিংবা পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন।
বিশ্বের অন্যতম সেরা ড্যানিশ রেস্তোঁরা ‘অ্যালকেমিস্ট’-এর শেফ রাসমুস মাঙ্ক মেনু তৈরি করছেন। এখনও মেনু চূড়ান্ত হয়নি, তবে ৩২ বছর বয়সি শেফ জানিয়েছেন, বিস্ময়ে ভরা ওই মহাকাশ সফরের মতো মেনুতেও স্বাদে-গন্ধে চমক থাকবে।
মাঙ্ক জানিয়েছেন, খরচ অনেকটাই বেশি, তবু মানুষের মধ্যে প্রবল উৎসাহ। প্রথম যাত্রার কারণে খরচ এতো বেশি পড়ছে। মাঙ্ক নিজেও প্রথম সফরে অংশ নেবেন। তার মতে, ভবিষ্যতে টিকিটের দাম ধীরে ধীরে কমবে। আরও বেশি মানুষ এই অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারবেন।
স্পেসভিআইপির প্রতিষ্ঠাতা রোমান চিপোরুখা বলেন, ইতিমধ্যে কয়েক ডজন আবেদন জমা পড়েছে, সকলেই প্রবল উৎসাহী। কিন্তু আমাদের আসন মাত্র ছ’টি রয়েছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যাত্রী-তালিকা চূড়ান্ত করা হবে। সূত্র: রব রিপোর্ট
এমটিআই