ঢাকা: ২০২৩ সালের শেষ ছয় মাসে ২ হাজার ৯৪৩টি কনটেন্ট সরাতে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গুগলকে অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ। পুলিশ এবং বিচারবিভাগসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে এসব অনুরোধ করা হয়েছে।
সরকারের সমালোচনা ক্যাটেগরিতে সর্বোচ্চ ৫২ শতাংশ কনটেন্ট সরানোর অনুরোধ করা হয়েছে। পাশাপাশি কনটেন্টের সিংহভাগই গুগল মালিকানাধীন ভিডিও স্ট্রিমিং সাইট ইউটিউবে প্রকাশিত ভিডিও। ২ হাজার ৯০৯টি ভিডিও কনটেন্ট সরাতে গুগলকে অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ সরকার। তবে সরকারের এসব অনুরোধের ৫৮ দশমিক ৬ শতাংশে ক্ষেত্রে কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি গুগল। সম্প্রতি স্বচ্ছতা প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০১১ সাল থেকে বিভিন্ন দেশের সরকারের পক্ষ থেকে আসা এ ধরনের অনুরোধের বিস্তারিত প্রকাশ করে আসছে গুগল।
২০২৩ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, এসব কনটেন্ট সরাতে সবথেকে বেশি অনুরোধ করেছে তথ্য ও যোগাযোগ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেমন ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি্ (ডিএস), বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি), তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ ইত্যাদি। পাশাপাশি পুলিশ, বিচারিক আদালত এবং অন্যান্য সংস্থাও কনটেন্ট সরাতে অনুরোধ করেছে গুগলের কাছে।
সবচেয়ে বেশি ইউটিউব থেকে কনটেন্ট সরানোর অনুরোধ করা হয়েছে। এরমধ্যে একটি গোয়েন্দা সংস্থার সুনাম নষ্টের অভিযোগে একটি ভিডিও সরানোর অনুরোধ করা হয় গুগলকে। তবে জনস্বার্থ এবং আদালতের বৈধ আদেশ না থাকায় ভিডিওটি সরায়নি গুগল। এ ছাড়াও বিটিআরসি জুয়ার প্ল্যাটফর্ম হওয়ার অভিযোগ এনে গুগল প্লে-স্টোর থেকে আটটি অ্যাপ বন্ধের অনুরোধ করে। গুগল বিটিআরসি’র অনুরোধ রক্ষা করে অ্যাপগুলো প্লে-স্টোর থেকে সরিয়ে ফেলে।
সর্বাধিক ৩১০টি অনুরোধ এসেছে সরকারের সমালোচনার কারণে যা মোট অনুরোধের ৫২ শতাংশ। মানহানির কারণে হয়েছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৭৫টি অনুরোধ। এরপরেই রয়েছে পণ্য বা সেবা, প্রতারণা, ধর্মীয় বিষয়সহ প্রায় ১০টি কারণ।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সাল থেকে মোট ১২ হাজার ৫৬৯টি কনটেন্ট সরাতে তিন হাজার ৭৬৬টি অনুরোধ করা হয়েছে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে।
সূত্র-কালবেলা
আইএ