ঢাকা: বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় রেমালে পরিণত হয়েছে। যা সর্বোচ্চ ক্যাটাগরি-১ শক্তিমাত্রার ঝড় হিসেবে ২৬ মে দিবাগত রাত থেকে ২৭ মে সকালের মধ্যে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
নিজস্ব পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে শনিবার (২৫ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি)।
বিডব্লিউওটি’র প্রধান আবহাওয়া গবেষক খালিদ হোসেনের সই করা এক বার্তায় বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দীঘা থেকে বাংলাদেশের পটুয়াখালীর মাঝামাঝি যেকোনো জায়গা দিয়ে উপকূল অতিক্রম করবে। তবে এর সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের নামকরণ করেছে ওমান। এটি একটি আরবি শব্দ। এই নামের অর্থ বালির কণা। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার আঞ্চলিক কমিটি প্রতিটি ঝড়ের একটি নাম দিয়ে থাকে। ভারত মহাসাগরের ঝড়গুলোর নামকরণ করে এ সংস্থার আটটি দেশ। দেশগুলো হল- বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, মায়ানমার, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড ও ওমান। এ দেশগুলোর প্যানেলকে বলা হয় ডব্লিউএমও/এসক্যাপ (WMO/ESCAP)।
টেলিভিশন, রেডিওসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের মাধ্যমে ঘূর্ণিঝড়ের আপডেট জানা যায়। তবে একটি স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেট থাকলে ঘরে বসেই এই ঝড়ের গতিপথ লাইভ দেখতে পাওয়া যাবে। www.windy.com নামের একটি ওয়েবসাইটে ঘূর্ণিঝড়ের গতিবিধি জানা যাবে। প্রতি মুহূর্তের আপডেট জানায় ওয়েবসাইটটি।
শনিবার (২৫ মে) দুপুরে আবহাওয়া অধিদপ্তরে ব্রিফিংয়ে পরিচালক আজিজুর রহমান জানিয়েছেন, দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ অবস্থায় অতি দ্রুত মাছ ধরা ট্রলারগুলোকে উপকূল অঞ্চলে চলে আসতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি রোববার (২৬ মে) দুপুরের মধ্যে উপকূল স্পর্শ করতে পারে। সন্ধ্যায় এটি বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম শুরু করতে পারে এবং রাত ১২টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের এই পরিচালক বলেন, পুরো ঘূর্ণিঝড়টির আকার ৪০০ থেকে ৫০০ কিলোমিটার হতে পারে। তবে, ঘূর্ণিঝড়টি অতি প্রবল হওয়ার সম্ভাবনা নেই। নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে ১০ নম্বর বিপদসংকেত পর্যন্ত জারি হতে পারে। তবে পরিস্থিতি অনুযায়ী সেটা আমরা জারি করব।
আইএ
আপনার মতামত লিখুন :